বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউড তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের মহীরুহ স্বরূপ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ থেকে ‘পা’ হয়ে ওঠার সফরে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। ব্যর্থতা এসেছে তাঁরও। জড়িয়েছেন বিতর্কে। কিন্তু ৮০ পেরিয়েও কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, পরিশ্রম রয়েছে একই রকম। এখন যিনি ভারতীয় সিনেমার অন্যতম মুখ, একটা সময় তাঁকেই ক্ষুধানিবৃত্তির চিন্তা করতে হয়েছে। অমিতাভের (Amitabh Bachchan) সেই সাদাকালো দিনগুলির সাক্ষী ছিল কল্লোলিনী কলকাতা।
কলকাতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় অমিতাভের (Amitabh Bachchan)
‘বাংলার জামাই’ হিসেবেই পরিচিত অমিতাভ। তবে জয়াকে বিয়ের অনেক আগেই কলকাতার সঙ্গে পরিচিতি ছিল তাঁর। একসময় এই শহরেই চাকরি করে রোজগার করতেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। তখনও অবশ্য তিনি ‘বিগ বি’ হয়ে ওঠেননি। সালটা ১৯৬৮, সে সময় কলকাতায় এক বেসরকারি অফিসে চাকরি করতেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। বেতন ছিল মাত্র ১৬৪০ টাকা।
কীভাবে কাটত তখন জীবন: একটি ১০ বাই ১০ এর ঘরে থাকতেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। তিনি একা নন, মোট আটজন থাকতেন ওই ঘরে। টাকা ছিল না ঠিকই, কিন্তু আনন্দ ছিল ষোল আনা। অফিসের পরে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতেন। অমিতাভ (Amitabh Bachchan) জানিয়েছিলেন, কলকাতায় থাকার দিনগুলি ছিল স্বাধীনতা এবং মজায় মেশানো। তখন বেশি টাকা না থাকায় নামী জায়গায় ঢুকতে পারতেন না তাঁরা। কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখতেন যে একদিন তাঁরাও ঢুকবেন।
আরও পড়ুন : টোটোতেও নম্বর প্লেট, দৌরাত্ম্য রুখতে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন, ডেডলাইন বেঁধে দিল রাজ্য সরকার
কী খেয়ে খিদে মেটাতেন: কলকাতা বাসের দিনগুলির কথা একাধিক বার শোনা গিয়েছে অমিতাভের (Amitabh Bachchan) মুখে। তিনি জানিয়েছিলেন, সে সময় খুব খাবারের কষ্ট হয়েছিল তাঁর। খুব সামান্য টাকাই হাতে থাকত। একজন নাকি তাঁকে তখন তাঁকে সন্ধান দিয়েছিল ভিক্টোরিয়ার সামনের ফুচকার। কম টাকায় দিব্যি পেট ভরত। তাই ফুচকা খেয়েই খিদে মেটাতেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। একবার বিগ বি জানিয়েছিলেন, সেসময় গেট কিপারদেরও তিনি বলতেন, কখনও সময় ভালো হলে তাঁদের দেখবেন।
আরও পড়ুন : এখনও আকাশছোঁয়া দাম, এবার বাজার থেকে হারিয়েই যাবে ইলিশ! বড়সড় আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের
মেগাস্টার হয়ে ওঠার পর একাধিক বার কলকাতায় শুটিং করতে এসেছেন অমিতাভ। পুরনো স্মৃতি গুলিতে ভর করে সেই জায়গাগুলিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিগ বির কথায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহর বদলেছে ঠিকই, কিন্তু স্মৃতি আর ভালোবাসা একই রকম থেকে যায়।