বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ইডির (Enforcement Directorates) হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়। দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি। আর সামনে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্ৰিয়র নির্দেশে কালিদাস সাহা নামে এক ব্যক্তি তার তিনটি কোম্পানিতে ৫০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন।
ওদিকে ইডি সূত্রে খবর, শহিদুল রহমান নামক এক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন West Bengal Essential Commodities Supply Corporation লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তখন তাকে নগদ অর্থ দেওয়া হতো। সেই রাইস মিল থেকেই নগদ অর্থ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত বলে দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত গত বছর শেষের দিক থেকে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের একাধিক জেলায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। সেই সূত্র ধরেই ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) চালকলে ও ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। টানা ৫৩ ঘণ্টা অভিযানের পর রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি।
এই বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরেই গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখে জ্যোতিপ্রিয়কে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি। গত ডিসেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। সেখানেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং সঙ্গী বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: অর্জুন, বাবুনের পর এবার বিস্ফোরক শান্তনু! লোকসভার টিকিট না মেলায় দিকে দিকে ক্ষোভ
আগেই আদালতে ইডি জানিয়েছিল, সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো রেশনের খাদ্যসামগ্রী নয়ছয় করতেন বালু-‘ঘনিষ্ঠ’ ইউ বাকিবুর রহমান এবং তার সহযোগীরা। ইডির অনুমান, রেশন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর থেকে শুরু করে খাদ্য দফতরের বেশ বেশ কয়েক জন আধিকারিকও এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে। এবার পরবর্তীতে আর কোন হেভিওয়েটের নাম উঠে আসে সেটাই দেখার।