SIR প্রক্রিয়ায় ERO নিয়োগে বেনিয়ম? মুখ্যসচিবকে চিঠি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

Published on:

Published on:

Election Commission Questions West Bengal Over ERO Appointments

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SIR ইস্যুতে ফের সংঘর্ষে জড়াল রাজ্য ও কমিশন। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়ে বাংলায় ERO নিয়োগের বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছে। SIR প্রক্রিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ERO, AERO-দের নিয়োগকে কেন্দ্র করে কমিশন রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ERO নিয়োগের নির্দিষ্ট রীতির কথা জানাল কমিশন (Election Commission)

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার একই অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে এই বিষয়ে কমিশন (Election Commission) অনেক আগেই সরব হয়েছিল। কমিশনের প্রশ্ন, কেন SDO-র নীচের পদমর্যাদার ব্যক্তিদের ERO হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে? কমিশন জানিয়েছে, ERO নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রীতি রয়েছে। কোন পদমর্যাদার কর্মকর্তা কোন পদ্ধতিতে নিযুক্ত হবেন, তা বিস্তারিতভাবে জানানো প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে যে, SDO বা সমতুল্য পদমর্যাদার অফিসারের সংখ্যা কম থাকায় এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তাই এই চিঠি। চিঠিতে কমিশন মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চেয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘন হলে দায়িত্ব কে নেবে।

এই প্রসঙ্গ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করে বলেন, “SIR-এর কাজ যখন চলবে, তখন ERO, AERO-দের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের নিয়োগ নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে পুরো SIR প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।”

Election Commission Questions West Bengal Over ERO Appointments

আরও পড়ুনঃ ফের উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা, বন্যাদুর্গত এলাকার অবস্থা দেখে বিশেষ নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, কমিশনের বিরক্তি শুধুই নিয়োগ নিয়েই নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেও কমিশন মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেওয়া যায় না। মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে একজন সরকারি কর্মকর্তা ১ বছরের জেল ভোগ করতে পারেন। কমিশনের ওই মন্তব্যকালীন পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবের উপস্থিতি ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।