বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) রিপোর্ট জমা দিল কমিশনের বিশেষ দল। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাংলার প্রস্তুতি এবার ‘ফুল মার্কস’-এর যোগ্য। একাধিক জেলা শাসক, নির্বাচন আধিকারিক ও বিএলওদের কাজ দেখে খুশি কমিশনের পর্যবেক্ষকরা। তবে খুশির মধ্যেই লুকিয়ে রইল খানিকটা অস্বস্তি। কারণ, রাজ্যের বৈঠক চলাকালীন এমন কিছু প্রশ্ন উঠেছে যা শুনে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের।
বাংলার অফিসারদের প্রশ্নে হতচকিত কমিশনের (Election Commission) টিম
সূত্রের খবর, এই রাজ্যে বৈঠক চলাকালীন একাধিক জেলা আধিকারিক ও বিএলওরা SIR সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সব প্রশ্নে কমিশনের টিম কার্যত হিমশিম খেয়েছে। দুই কমিশন কর্তা জানিয়েছেন বিহারেও এত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে বিশেষ টিম গত দু’দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ঘুরে SIR প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং রাজারহাট-গোপালপুর ছিল তাঁদের প্রধান পরিদর্শন এলাকা।
বাঁকুড়া জেলার বৈঠকে উঠে আসে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের অনেকের নাম ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় নেই। এই অসামঞ্জস্যতা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
এই পরিস্থিতিতেই ফের রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। সম্প্রতি বাংলায় ERO নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। অভিযোগ, বেশ কয়েকটি জেলায় SDO-র নীচের পদমর্যাদার কর্মীদেরই ERO হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ বলে দাবি কমিশনের। রাজ্যের নির্বাচনী দপ্তরের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, সময়সীমা মেনে কাজ এগোচ্ছে এবং যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতেই নির্বাচিত।
সবমিলিয়ে, SIR প্রস্তুতিতে পশ্চিমবঙ্গকে প্রশংসা করলেও পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের সক্রিয়তা এবং তাঁদের একের পর এক প্রশ্নে ঘাম ছুটেছে কমিশনের (Election Commission) টিমের। নির্বাচনের আগে বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধন করার এই প্রক্রিয়া নিয়ে এখনই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র কৌতূহল।