নামেই নিষেধাজ্ঞা, সরকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে দেদার মাছ ধরা, সঙ্কটে সমুদ্রের ইলিশ

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাছেভাতে বাঙালির কাছে ইলিশের গুরুত্ব সবসময়ই থাকবে শীর্ষে। গোটা বছর ইলিশের মরশুমের অপেক্ষায় থাকেন ভোজনরসিকরা। তবে ইলিশের (Hilsa Fish) মরশুমের শুরু থেকেই মাছ ধরায় কোনও আপত্তি না থাকলেও একটা নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ধরায় জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ দুই দেশেই ইলিশ (Hilsa Fish) নিয়ে এত মাতামাতি যে নিষেধাজ্ঞা আদৌ মানাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ইলিশ (Hilsa Fish) ধরায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা

এই সময়টা মূলত ইলিশের প্রজননের মরশুম। ২ রা অক্টোবর থেকে ১২ ই অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১১ দিন ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। এই সময়টা ইলিশের প্রজননের সময়। সমুদ্রে এই সময় ডিম পাড়ে ইলিশ (Hilsa Fish)। এই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। মূলত অক্টোবরের পূর্ণিমার পাঁচ দিন আগে এবং পরের দিনগুলিই ইলিশের (Hilsa Fish) ডিম পাড়ার পক্ষে উপযুক্ত বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

Hilsa fish catching without government permission

কতদিন চলে নিষেধাজ্ঞা: সেই দিন হিসেব করেই ভারতে ১১ দিন এবং বাংলাদেশে ২২ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বাস্তবে মৎস্যজীবীরা সেই নিষেধাজ্ঞা আদৌ মানছেন না বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুন : ফের উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা, বন্যাদুর্গত এলাকার অবস্থা দেখে বিশেষ নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

মৎস্যজীবীদের অভিযোগ: নিয়ম লঙ্ঘন করেই দিব্যি চলছে সমুদ্রে মাছ ধরা। প্রশাসনের তরফে যে সময়টা মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেই সময়ও অনেক ট্রলারকে দেখা যাচ্ছে মাছ (Hilsa Fish) ধরে ফিরতে।

আরও পড়ুন : ‘রাতের বেলা মেয়েদের বেরোতে দেওয়া উচিত নয়,’ দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া গণধর্ষণকাণ্ডে বললেন মমতা

বেশ কিছু ট্রলার তেল এবং বরফ বোঝাই করে পাড়ি দিচ্ছে সমুদ্রে। মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ, অন্য দেশে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়াকড়ি থাকলেও ভারতে প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় নিয়ম ভেঙেই দেদারে চলছে মাছ ধরা। এর জেরে বংশবিস্তার করার সুযোগ পাচ্ছে না ইলিশ। ফলত সমুদ্র নদীতে সংখ্যা কমছে রূপোলি শস্যের।