‘মমতার ছাতার তলায় আসুন’, ভোটের আগে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের তৃণমূলে আসার ডাক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

Published on:

Published on:

Trinamool Congress invites Congress and CPM under Mamata’s umbrella in Murshidabad

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদে বিজেপিকে পরাজিত করতে এবার সিপিএম ও কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতার তলায় ডেকেছে জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের তৃণমূলে আসার আহ্বান তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের

তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক বলেন, প্রতিবার ভোটের সময় দেখা যায়, সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা তাদের ভোট কীভাবে দেবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভোটের আগে এমন আহ্বান জানিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, যেহেতু বাম-কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার বেশি নয়, তাই ভোট কাটাকাটির জন্য অপর দুই শক্তিশালী দল বারেবারে বাম-কংগ্রেসের কর্মীদের ‘টার্গেট’ করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায়। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে একই কৌশল অবলম্বন করেছেন তৃণমূল নেতা।

রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ব্লকে। অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতি ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “কংগ্রেস এবং বামেরা রাজ্যে কোনওদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এটাই ভবিষ্যৎ। ওরা যে দু’চার শতাংশ ভোট পায়, তাতে ভোট কাটবে। বিজেপির সুবিধা হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সুবিধা হবে।”

অপূর্ব সরকার আরও বলেন, “সেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সুবিধা না করে দিয়ে আপনারা তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় আসুন। বাম-কংগ্রেস যদি এই ছত্রছায়ায় না আসে, তারা যে ভোট পায় তা আদতে বিজেপির লাভ হবে।”

Trinamool Congress invites Congress and CPM under Mamata’s umbrella in Murshidabad

আরও পড়ুনঃ সেদিন ঠিক কি হয়েছিল নির্যাতিতার সঙ্গে? CCTV ফুটেজ থেকে মিলল চঞ্চল্যকর তথ্য

এ বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুরোটাই বোগাস। এই বাংলায় তো বিজেপি ছিল না, ওঁর দল নিয়ে এসেছে সেটা কি ঘোষণা করবেন? আসলে বিজেপির দায় তৃণমূলের। আর বিজেপি-কে তাড়ালাম, তৃণমূল থেকে গেল; আর বিজেপিকে তাড়ালাম, তৃণমূল থেকে গেল, নামটা আলাদা, কাজ তো একই হল।”