কাজ নেই বাংলায়, পেট চালাতে ভিন রাজ্যে যাওয়াই হল কাল! বেঘোরে প্রাণ গেল বনগাঁর ৩ যুবকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুটা বাড়তি আয়ের আশায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সেখানে গিয়ে যে এমন মর্মান্তিক পরিমতি হবে তা কি দুঃস্বপ্নেও ভেবেছিল কেউ? সংসারে দারিদ্রতা। চাকরির আশায় মুম্বাই পাড়ি  দিয়েছিলেন বনগাঁর যুবক। তবে কাজ শেষে আর জীবিত অবস্থায় ফিরলেন না বাড়ি। ফিরল মৃতদেহ।

তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খবর পেয়ে গেলেন মৃত শ্রমিকদের বাড়ি। পীযূষ মুম্বাই থেকে ফোনে বাবাকে বলেছিলেন,  ‘বাবা আমি টাকা পাঠালে ফল কিনে খেও, শরীরের দিকে খেয়াল রেখো।’ তবে সেই ছেলে আর জীবিত নেই। ছেলের মৃতদেহের আশায় চোখে জল নিয়ে অপেক্ষা করছেন বৃদ্ধ বাবা। পীযূষের পাশের বাড়ির ছেলে বছর ছাব্বিশের শংকর।

আরোও পড়ুন : বড় ঘোষণা পূর্ব রেলের, হোলিতে ছুটবে একাধিক অতিরিক্ত ট্রেন! জানুন কোথা থেকে কোথায়

তিনিও কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বাই। তবে সেই একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শংকর। এঁদের পাশাপাশি মনোরঞ্জন সমাদ্দার নামের এক তরুণও প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে পীযুষের। বহুদিন হল সে বাবাকে দেখেনি। তবে আজ সেই ছোট্ট ছেলেটি নিজের চোখে শেষবারের মতো দেখতে বাবাকে। তবে সেই দেহে থাকবে না প্রাণ।

আরোও পড়ুন : খেলার মাঠে বেধড়ক মারধর! বাম শাসিত কেরলে বর্ণবিদ্বেষের শিকার আফ্রিকান ফুটবলার

মুম্বইয়ের নবনির্মিত ১৬ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে বনগাঁর তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বনগাঁ থানার সীতনাথপুর ও চাঁদার এই তিন যুবক বহুতলের কাজ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বোরিবালিতে। কাজ চলাকালীন ১৬ তলার কার্নিশ ভেঙে পড়ে যান বাংলার এই ৩ যুবক। মৃত যুবকদের নাম পীযূষ হালদার (৪২), শংকর বৈধ (২৬), মনোরঞ্জন সমাদ্দার (৪৫)।

img 20240314 184957

মৃত যুবকদের পরিবার বলছে, এখানে কাজ নেই। তাই কাজের জন্য মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ির ছেলেরা। তাঁদের পাঠানো টাকা দিয়েই চলত সংসার। গ্রামের দিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস খবর পেয়ে পৌঁছেছেন মৃত শ্রমিকদের বাড়ি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর