বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজো মিটলেও উৎসবের মরশুম এখনও বাকি রয়েছে। আর এই মরশুম জুড়ে শহরের রাস্তায় যাতে কোনোরকম অঘটন, দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য অতি সতর্ক পুলিশ প্রশাসন (Kolkata Police)। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য এবার বড় পদক্ষেপ নিল লালবাজার। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালেই এবার নিমেষে ধরে ফেলবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রিদ অ্যানালাইজার।
বিশেষ ব্রিদ অ্যানালাইজার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে
রাস্তায় মদ্যপ গাড়িচালক দের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রিদ অ্যানালাইজার কিনতে চলেছে লালবাজার (Kolkata Police)। সেখানে থাকছে নিজস্ব মেমোরি। ফলত দুদিন পরে যদি কেউ দাবি করেন যে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েননি তবে সেই দাবি আদৌ ফলপ্রসূ হবে না। জানা যাচ্ছে, এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০ টি ব্রিদ অ্যানালাইজার কিনতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তারপর তা তুলে দেওয়া হবে ২৬ টি ট্রাফিক গার্ডের হাতে।
কী প্রযুক্তি থাকছে এতে: জানা যাচ্ছে, ওই ব্রিদ অ্যানালাইজারের নিজস্ব মেমোরিতে থাকছে প্রায় ১০ হাজার রেকর্ড। সেখানে অ্যালকোহলের পরিমাণ থেকে সময়, তারিখ সহ গাড়ির নম্বর, যে আধিকারিক পরীক্ষা করছেন তাঁর নামও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে খবর। যন্ত্রে তথ্য কারচুপিরও (Kolkata Police) কোনও সুযোগ নেই। কারণ এতে থাকছে পাসওয়ার্ড লক সহ তথ্য সুরক্ষা অর্থাৎ ডেটা প্রোটেকশনের ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, এই যন্ত্রে প্রযুক্তি এতই উন্নত যে চালক কিছুটা দূর থেকে ফুঁ দিলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই স্ক্রিনে ফল দেখিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন : যৌনাঙ্গের ভেতরে গভীর ক্ষত! প্রচুর রক্তপাতের উল্লেখ, আর কি বলছে দুর্গাপুরের নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট?
কেন এই ব্যবস্থা: অনেক সময়ই দেখা যায়, ধরা পড়ার কিছুদিন পরে অনেকসময়ই মদ্যপ গাড়ি বা বাইক চালক দাবি করেন যে ধরা পড়ার দিন তিনি আদৌ মদ্যপ ছিলেন না। জরিমানা এড়াতে যাতে আর কেউ কারচুপি করতে না পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)।
আরও পড়ুন : চড়চড়িয়ে চড়বে TRP, লম্বা বিরতি কাটিয়ে ক্যামেরার সামনে ফেরার সুখবর ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষার
উৎসবের মরশুমের সঙ্গে সঙ্গে বছরের শেষ এগিয়ে আসছে। কালীপুজো থেকে বড়দিন, সুরাপ্রেমীদের ভিড় বাড়বে শহরের রাস্তায়। দু্র্গাপুজোতেও মদ্যপ বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছিল। আগামীতে যাতে এমন পরিস্থিতি আর না হয় তার জন্য এই ব্রিদ অ্যানালাইজারের ব্যবস্থা পুলিশের। ৫০ টি অত্যাধুনিক ব্রিদ অ্যানালাইজার কিনতেই নাকি ২২ লক্ষ টাকার বেশি খরচ পড়ছে।