বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েক দিন বাকি কালীপুজো (Kali Puja 2025)। সামনের সপ্তাহেই অমাবস্যার রাত। সেই রাতেই হবে নৈহাটির একুশ হাত বড়মার পুজো। প্রতিবছরের মতো এ বছরও লক্ষাধিক মানুষ আসবেন বড়মার দর্শনে। তাই আগে থেকেই তৎপর প্রশাসন। নিরাপত্তা থেকে ভোগ বিতরণ, কোনও কিছুতেই যেন ভক্তদের অসুবিধা না হয়, সেই লক্ষ্যেই চলছে জোর প্রস্তুতি।
বড়মা’র পুজোর (Kali Puja 2025) নির্ঘণ্ট ও অঞ্জলির সময়
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কালীপুজো (Kali Puja 2025) ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হলেও মূল পুজো হবে অমাবস্যার রাতে, অর্থাৎ ২০ অক্টোবর ঠিক রাত ১২টায়। পুজোর মূল আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে সেই সময়। আর রাত আড়াইটের সময় অনুষ্ঠিত হবে অঞ্জলি। উপস্থিত ভক্তরা সেসময় অঞ্জলি দিতে পারবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো উপলক্ষ্যে বিশাল ভোগের আয়োজন করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ভোগের জন্য লাইনে দাঁড়ান। তাদের কথা মাথায় রেখে ভোগের জন্য ২ টি ও প্রসাদ-সন্দেশ দেওয়ার জন্য আরও ২ টি কাউন্টার খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
পুজো গ্রহণের জন্য ১৭ অক্টোবর থেকেই ৩টি কাউন্টার খোলা হবে। আর মূল কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিন, অর্থাৎ ২০ অক্টোবর, ৪টি কাউন্টার চালু থাকবে। ভক্তদের দীর্ঘ লাইনে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য মন্দির কমিটি বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও মোতায়েন করছে বলে খবর সূত্রের।
বড়মা কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এবার তিনশোর বেশি স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন মণ্ডপসহ আশপাশের এলাকায়। ৮০টির বেশি সিসি ক্যামেরা নজর রাখবে ভক্তদের গতিবিধির উপর। এছাড়াও গঙ্গার ঘাট, মন্দির প্রাঙ্গণ ও নৈহাটি স্টেশন চত্বরে একটি করে এলইডি স্ক্রিন থাকবে।” অন্যদিকে, সোমবার নৈহাটি রেল স্টেশন ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শনে যান বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ কমিশনার জানান, “স্টেশনে ‘ওয়ানওয়ে সার্কুলেশন সিস্টেম’-এর মাধ্যমে যাত্রীদের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রেলযাত্রীরা সাবওয়ে দিয়ে বেরোবেন, আর ট্রেন ধরার জন্য দক্ষিণদিকের ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না।” তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। কালীপুজোর দিনগুলিতে রেল, ডিএমজি, ফায়ার, ইলেকট্রিক, পিডব্লিউডি-সহ সব দপ্তর নিয়ে একটি যৌথ কন্ট্রোল রুম গঠন করা হবে, যাতে কোনও জরুরি পরিস্থিতি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
আরও পড়ুনঃ ১ লক্ষ স্কুল, ১ জন শিক্ষক, ৩৩ লক্ষ পড়ুয়া! কেন্দ্রের রিপোর্টে বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা
সূত্রের খবর, নৈহাটি রেল স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে চলছে একুশ হাত বড়মার প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। বিশাল আকৃতির প্রতিমা দেখতে ইতিমধ্যেই এলাকায় জমেছে জনতা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে ভক্তদের ভিড়। পুজোর (Kali Puja 2025) আগেই নৈহাটির বড়মাকে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।