বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ের কোলে গড়ে উঠতে চলেছে ফের এক নতুন পর্যটন কেন্দ্র। সম্প্রতি তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে সুখিয়াপোখরি থেকে পশুপতি ফটকের পথে ‘দ্বিতীয় লামাহাটা’ খুঁজে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার দার্জিলিং সফরে গিয়ে পাহাড়ের রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। চারদিকে পাইন বনের সারি, নিচে সবুজ চা বাগান, দূরে ধবল কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। প্রকৃতির সেই রূপে মোহিত হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
পাহাড়ে ফের নতুন পর্যটন কেন্দ্রের পরিকল্পনা মমতার (Mamata Banerjee)
মমতার (Mamata Banerjee) স্মৃতিতে ফিরে আসে ২০১২ সালের কথা। সদ্য সরকার এসেছে, আর তিনি তখন পর্যটনকে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছেন। দার্জিলিং থেকে কালিম্পং যাওয়ার পথে এক অপরূপ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, জায়গাটির নাম লামাহাটা। সেই দৃশ্যই তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এরপর তাঁর ভাবনায় কয়েক মাসের মধ্যেই লামাহাটা গড়ে ওঠে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল ‘হোম স্টে’ সংস্কৃতি। স্থানীয় গ্রামবাসীর বিকল্প জীবিকা তৈরির উদ্যোগ। আজ সেই ‘হোম স্টে’ মডেল গোটা রাজ্যের পর্যটনের চেহারা বদলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সুখিয়াপোখরি এলাকা পরিদর্শনের পর দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে নতুন প্রকল্পের দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। মমতা বলেন, “সুখিয়া থেকে মিরিক যাওয়ার পথে নতুন একটি পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি হবে, ঠিক লামাহাটার মতোই। আমি জায়গাটা দেখে এসেছি। এক বছরের মধ্যে নতুন পর্যটন ক্ষেত্র হবে। সেখানে হোম স্টেও থাকবে।” মমতা আরও জানান, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় শুটিং করতে আসেন বহু পরিচালক ও পর্যটক। ফলে নতুন পরিকাঠামো তৈরি হলে স্থানীয় মানুষের আয়ের নতুন রাস্তা খুলবে।
পরিদর্শন শেষে পাহাড়ের জনসংযোগেও ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি পাহাড়ে বিপর্যয়ের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় শিশুদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট ও টেডি বেয়ার। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা দিতে গিয়ে মমতা বলেন, “পর্যটনের বিকাশই পাহাড়ে শান্তির মূল চাবিকাঠি। স্থানীয় মানুষ কাজ পেলে, পাহাড়ও হাসবে।”
প্রসঙ্গত, সুখিয়াপোখরির সেই পাহাড়ি পথে নতুন করে গড়ে উঠছে এক ‘লামাহাটা ২.০’। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পরিকল্পনায় এই নতুন প্রকল্প শুধু পর্যটন নয়, পাহাড়ি জীবনের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।