গুগল এবং ইউটিউব থেকে শেখেন অভিনব দক্ষতা! এখন বাড়িতে বসেই বিপুল আয় করছেন নীনা

Published on:

Published on:

Neena Verma's Succes Story will surprise you.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় আছে, ইচ্ছা আর জেদ থাকলে সফলতার (Success Story) পথে কোনও বাধাই আসতে পারে না আর। ঠিক সেই কথাই সত্যি প্রমাণ করেছেন ঝাড়খণ্ডের গড্ডার নীনা বর্মা। কোভিড মহামারির সময় যখন গোটা দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিয়েছিল, হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছিলেন চাকরি, তখন নীনা হাল ছাড়েননি। বরং তিনি নিজের জীবনের নতুন পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। গুগলের সাহায্যে তিনি শেখেন জুটের ব্যাগ তৈরির কৌশল, আর সেই শেখা থেকেই শুরু হয় তাঁর নতুন যাত্রা।

নিনার সফলতার অনন্য কাহিনি (Success Story)

প্রথমে নীনা একাই ঘরে বসে ছোট ছোট জুটের ব্যাগ বানাতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর তৈরি ব্যাগের নকশা ও মান দেখে পাড়ার মহিলারা মুগ্ধ হন এবং তাঁরা এই কাজ শিখতে আগ্রহ দেখান। নীনা তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। আজ তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন এক ডজনেরও বেশি মহিলা, যারা প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাজ করে মাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। এতে শুধু তাঁদের আর্থিক স্বনির্ভরতা এসেছে তা নয়, সমাজে নারীর আত্মনির্ভরতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও স্থাপিত হয়েছে (Success Story)।

আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশনের কড়া নজর! বঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে বাদ সন্দেহভাজন ১০০-রও বেশি বাংলাদেশির নাম

নীনা জানান, ব্যাগের নকশা, সেলাই পদ্ধতি, এমনকি বিক্রির কৌশল—সবই তিনি শিখেছেন গুগল ও ইউটিউব থেকে। পরে তিনি নিজের পণ্য বিক্রি করতে শুরু করেন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মিশো’-তে। ধীরে ধীরে তাঁর তৈরি ব্যাগ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে শুরু করে। তাঁর ডিজাইন করা ল্যাপটপ ব্যাগ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্যগুলির একটি হয়ে উঠেছে (Success Story)।

তবে নীনার উদ্দেশ্য কেবল ব্যবসা নয়। তাঁর স্বপ্ন, গ্রামের ও শহরের মহিলারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, আত্মনির্ভর হতে পারেন। তাই তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন ‘শ্রী রাম কুটির শিল্প’, যা গড্ডার নেহরু চক-এ অবস্থিত। এখান থেকে স্থানীয় মানুষ সরাসরি ব্যাগ কিনতে পারেন, আবার অনলাইনেও ‘মিশো’ অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া যায় (Success Story)।

Neena Verma's Succes Story will surprise you.

আরও পড়ুন:মাত্র ৬ মাসেই মিলেছে ৬২ শতাংশের রিটার্ন! ডিফেন্স সেক্টরের এই কোম্পানির স্টকে রকেটের গতি

নীনা বর্মার এই সাফল্যের গল্প আজ শুধু গড্ডা নয়, সমগ্র ঝাড়খণ্ডের মহিলাদের কাছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। এক সময় যে মহিলারা সংসারের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন, তাঁরা আজ তাঁর হাত ধরে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছেন। নীনা প্রমাণ করেছেন—অন্তরের বিশ্বাস, পরিশ্রম আর প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার থাকলে, গ্রামবাংলার একজন নারীও জাতীয় স্তরে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে পারেন (Success Story)।

নীনা বলেন যে, “আমি চাই আমার মতো আরও অনেক মহিলা যেন নিজেদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সমাজে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেন। আমার কাছে ব্যবসা মানে শুধু লাভ নয়, সমাজের উন্নতি।”তাঁর এই ভাবনা আজ বাস্তব রূপ পেয়েছে। ছোট্ট এক ঘর থেকে শুরু হওয়া নীনা বর্মার উদ্যোগ আজ ঝাড়খণ্ডে নারী উদ্যোক্তা আন্দোলনের নতুন মুখ হয়ে উঠেছে।