বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভোটের মুখে গোটা দেশজুড়ে CAA কার্যকর করেছে বিজেপি সরকার। ভোটের মুখে কেন্দ্রের এই ঘোষণা বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে ধারণা রাজনৈতিক কারবারিদের। যদিও বিরোধীরা এত সহজে এই নীতিকে মান্যতা দিতে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই ২৩০ টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে এম কে স্ট্যালিন, প্রায় সমস্ত বিরোধী দলই একযোগে সিএএ নীতির বিরোধীতা করেছে। বিরোধীদের দাবি, এই নীতি মুসলিম বিরোধী। যদিও কেন্দ্রের দাবি, এই নীতির সাথে মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। মূলত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেবে এই নীতি। তা ছাড়া এই নীতি সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী বলেও দাবি বিরোধীদের।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কম করে হলেও ২৩০টি অভিযোগ জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সিএএ-র উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দীন ওয়েইসি। সংগঠনগতভাবে অন্যতম মামলাকারী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অফ মুসলিম লিগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে।
আরও পড়ুন : ‘বিরোধীরাই BJP কে জেতাবে’! বাংলায় লোকসভার ফল নিয়ে বিষ্ফোরক PK, দিলেন ৭ যুক্তি
এইদিন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল) পক্ষে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টে। তিনি বলেন, ‘একবার শরণার্থী হিন্দুরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে তা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই এ মামলার জরুরি শুনানি প্রয়োজন।’ এখানে বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। এবং পরে এটি একটি আইনে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটি! অংশ নিলনা ভারত
উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর এই সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে। তার আগে রাষ্ট্রপতি সিএএ-কে বৈধ বলার সময়ও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সমস্ত মামলার শুনানিও আটকে আছে। সূত্রের খবর, সিএএ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানিই আজ শুনবে সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চ।