বহুতল আবাসনে বদ্ধ জায়গায় রমরমিয়ে চলছে বাজির দোকান! শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন শ্রীলেখা

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীপাবলির বাজারে অবৈধ আতশবাজি এবং শব্দবাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ডেসিবেলের শব্দবাজির জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। কড়া নজরদারিতে অবৈধ বাজি বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক। তারপরেও গুরুতর অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাঁর আবাসনের মধ্যে বদ্ধ জায়গায় বাজি বিক্রি করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) আবাসনের ভেতরে আজি বিক্রির অভিযোগ

বেহালার এক বহুতল আবাসনে বাস শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra)। রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তিনি দেখেন, আবাসনের ভেতরে বদ্ধ জায়গায় বসেছে বাজির দোকান। এসব দেখে রীতিমতো হতভম্ব শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, আবাসনের বাইরে কিংবা খোলা জায়গায় যদি বাজি বিক্রি হত, তবে তাঁর কিছুই বলার ছিল না। কিন্তু ভেতরে বদ্ধ জায়গায় এই অনুমতি মেলে কী করে? কেই বা দিয়েছেন এই অনুমতি?

Sreelekha Mitra accuses of selling fire crackers in high rise complex

কী পদক্ষেপ নিলেন অভিনেত্রী: বাজি বিক্রেতাকে এই প্রশ্ন করায় তিনি জানান, আবাসনের দেখভালের দায়িত্ব যাঁর উপরে রয়েছে তিনিই নাকি দিয়েছেন এই দায়িত্ব। শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) আশঙ্কা, কোনোভাবে যদি আগুনের ফুলকি এসে পড়ে তাহলে আবাসনে আগুন লাগলে তার দায় কে নেবে? উপরন্তু তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ মাথাও ঘামাচ্ছেন না। তবে শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra) হাত গুটিয়ে বসে থাকার পাত্রী নন।

আরও পড়ুন : সারা শরীরে ক্ষত, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের নাতনিকে খুন দাদুর! সোনারপুর কাণ্ডে বিষ্ফোরক মোড়

কী হল সমাধান: এরপরেই লালবাজার পেট্রল পুলিশ এডং তারপর হরিদেবপুর থানায় খবর দেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। কিন্তু অফিসাররা আবাসনে এসে পৌঁছালে তাঁদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আবাসনের দেখভালকারীর বিরুদ্ধে। এমনকি পুলিশ অফিসারের চাকরি খেয়ে নেওয়ারও নাকি হুমকি দেন তিনি। গোটা বিষয়টাই ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন শ্রীলেখা। পরিচিতদের সঙ্গে ভাগও করে নেন তিনি।

আরও পড়ুন : শ্রীময়ীই শুরু করেন পুজো, কৃষভিকে গর্ভে নিয়েও করেছিলেন আয়োজন, এবার কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজোয় কী প্ল্যান?

শ্রীলেখা অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। উপরমহলের সায় না থাকলে আবাসনের দেখভালকারীর অনুমতি দেওয়ার সাহস হয় কী করে? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শ্রীলেখা জানান, পুলিশ যাওয়ার পর থেকে এখনও বাজির দোকান খোলেনি। তবে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না শ্রীলেখা।