বাংলাহান্ট ডেস্ক : শতাব্দী প্রাচীন রায়গঞ্জের বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়ির (Kalipujo 2025) পুজো। শোনা যায়, এক সাধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চমুণ্ডের আসন। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধররাই এই কালীবাড়িতে (Kalipujo 2025) মায়ের পুজো করে আসছেন। এখানে তন্ত্রমতে পূজিতা হন মা কালী।
রায়গঞ্জের দীর্ঘদিনের পুরনো কালীমন্দির (Kalipujo 2025)
পঞ্চমুণ্ডের আসনে কষ্টিপাথরের তৈরি কালী মূর্তি রয়েছে রায়গঞ্জের এই সুপ্রাচীন কালীবাড়িতে (Kalipujo 2025)। কালীপুজোর দিন রায়গঞ্জ শহর তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও দলে দলে ভক্তরা আসেন মায়ের পুজো চাক্ষুষ করতে। কত বছরের পুরনো এই কালীমন্দির?
কত দিনের পুরনো মন্দির: মন্দির পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য জানান, কবে যে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানা নেই। তবে প্রায় ৫০০ বছর পুরনো এই কালীমন্দির। যদিও মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় ২১৬ বছর আগে। কথিত আছে, পঞ্জাব প্রদেশের এক সাধু পায়ে হেঁটে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন রায়গঞ্জের কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে। ওই ঘাটের কাছেই একটি বটগাছের তলায় বসে সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেন তিনি। তারপর প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুণ্ডের আসন। তা আজ জন প্রায় ৫০০ বছর আগেকার কথা।
আরও পড়ুন : বিচ্ছেদ হয়েও পুনর্মিলন, সোহেলের বাড়ির ৫০ বছরের পুরনো পুজোয় কোন দায়িত্ব সামলালেন তিয়াশা?
কে করেন পুজোর কাজ: তিনি আরও জানান, তৎকালীন দিনাজপুরের রাজার পাওয়া স্বপ্নাদেশ মেনে প্রতিষ্ঠা হয় কালীমন্দির (Kalipujo 2025)। তারাপীঠের মায়ের মতো নিয়মেই পুজো হয় এখানে। আগে কথিত ছিল শেয়ালের ডাক শোনার পরেই শুরু হত পুজো। এখনও সেই রীতি প্রচলিত রয়েছে। এখানে মায়ের ভোগে দেওয়া হয় শোল এবং বোয়াল মাছ।
আরও পড়ুন : শ্রীময়ীই শুরু করেন পুজো, কৃষভিকে গর্ভে নিয়েও করেছিলেন আয়োজন, এবার কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজোয় কী প্ল্যান?
প্রতি কালীপুজোর যাতে এখানে ভিড় উপচে পড়ে ভক্তদের। বামাক্ষ্যাপার বংশধররা এসে করেন পুজোর আয়োজন। শোনা যায়, এখনও মায়ের পায়ের নূপুর ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায় পুজোর দিনে।