বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় লোকাল ট্রেন পরিষেবায় নতুন চমক এসি লোকাল ট্রেন (AC Local Train)। শিয়ালদহ ডিভিশনে দুটি এসি লোকাল চালু হয়েছে। ভিড়ও হচ্ছে বেশ ভালোই। প্রায় দেড় মাস হল শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর এসি লোকাল (AC Local Train) চালু হয়েছে। প্রথম থেকেই ট্রেনটি ভালো সাড়া ফেলে দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু এই এসি লোকালের জেরে আপ লাইনের অন্যান্য ট্রেনগুলিকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিদিনই ট্রেন লেট হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।
এসি লোকালের (AC Local Train) জেরে দেরিতে চলছে শিয়ালদহ শাখার অন্য ট্রেন
শিয়ালদহ মেন শাখায় সকালের দিকে লেগেই রয়েছে সমস্যা। নিত্যযাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, এসি লোকালকে (AC Local Train) জায়গা করে দিতে অন্য লোকালগুলিকে দেরি করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রায় ১৫-২০ মিনিট মতো লেটে চলছে ট্রেনগুলি। শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর এসি লোকাল (AC Local Train) শিয়ালদহ থেকে রওনা হয় সকাল ৯ টা ৪৮ মিনিটে। সেই ট্রেন বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছায় প্রায় ১০ টা নাগাদ। অন্যদিকে শিয়ালদহ ডিভিশনের আপ দত্তপুকুর লোকাল বিধাননগরে পৌঁছানোর কথা সকাল ১০ টা ৬ নাগাদ। কিন্তু তার আগেই এসি লোকালকে (AC Local Train) পার করিয়ে দিতে গিয়ে দেরি করানো হয় দত্তপুকুর লোকালকে। সেই ট্রেন আসতে আসতে সকাল ১০ টা ২০ হয়েই যায়।
ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা: শুধু এই ট্রেনটিই নয়, বারাসত, বনগাঁ লোকালের মতো একাধিক ট্রেন দেরি করে ঢুকছে। ফলত রোজই স্কুল, অফিসে দেরি হচ্ছে। ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি না করে এমনভাবে এসি লোকাল (AC Local Train) চালু করার মানে কী! ওই এসি ট্রেনটিতে তেমন ভিড়ও হয় না বলে জানান যাত্রীরা। অথচ ফাঁকা ট্রেন চালাতে গিয়ে অন্যান্য ট্রেনগুলি দেরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : কালীপুজোয় ৮ কোটি টাকার মদ বিক্রি করে রেকর্ড! কলকাতাকেও ছাপিয়ে গেল বাংলার এই জেলা
লেট হচ্ছে অন্যান্য ট্রেন: নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, আগে যে বনগাঁ লোকাল ১০:১৩ তে স্টেশনে ঢুকত, এখন তা ঢুকতে ঢুকতে প্রায় সাড়ে দশটা হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে আগের ট্রেন ধরতে হয়। অভিযোগ, এসি লোকালের (AC Local Train) জেরে অন্যান্য ট্রেনগুলির টাইম টেবিল ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। ট্রেন দেরি করায় কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে প্রায় রোজই। তাই বাধ্য হয়েই আরও আগে বাড়ি থেকে বেরোতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
আরও পড়ুন : শেষমেষ মা কালী কিনা প্রিজন ভ্যানে! কাকদ্বীপের ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর
এখানেই শেষ নয়। দমদম ক্যান্টনমেন্টে ঢোকার মুখে প্রায় রোজই ট্রেন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ১০-১৫ মিনিট। রেল কর্তৃপক্ষের কি কোনও হেলদোলই নেই? ডিআরএম শিয়ালদহ জানান, একটি নতুন পরিষেবা চালু হয়েছে। সিস্টেম আপডেট হচ্ছে। তাই সম্পূর্ণটা স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।