বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্ঘটনা এড়াতে নানান সতর্কতামূলক উদ্যোগ নিয়ে থাকে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। বিশেষ করে মাঝেমধ্যেই রেল লাইনের উপরে বন্যপ্রাণী চলে আসায় অসতর্কতার ফলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে মাসখানেক আগে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর খবর মিলেছে। কিছু কিছু রেল চালকদের অসতর্কতার কারণে ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনা এড়াতেই তাই এবার কোমর বেঁধে নামল ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways)।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে (Indian Railways) আইডিএস বসানোর প্রকল্প
উত্তরপূর্ব সীমান্তে রেলের নেটওয়ার্ক জুড়ে বসেছে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম বা আইডিএস। উত্তর পূর্ব সীমান্তে মূলত যেসব এলাকায় বনাঞ্চল এবং হাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে রেললাইন (Indian Railways) গিয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে বসানো হয়েছে সেন্সর। জানা যাচ্ছে, মোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ সেকশনে আইডিএস এর পরীক্ষামূলক কাজ সফল ভাবে চালু হয়েছে।
কোন সেকশনে বসবে সিস্টেম: এই চারটি সেকশনের মধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে মাদারিহাট-নাগরাকাটা সেকশন, লামডিং ডিভিশনের অধীনে রয়েছে হাবাইপুর-লামসাখং-পাথরখোলা-লামডিং সেকশন, তিনসুকিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত রয়েছে তিতাবর-মরিয়নি-নকচারি সেকশন এবং রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে রয়েছে কামাক্ষ্যা-আজারা-মির্জা সেকশন। ৬৪.০৩ কিমি হাতি করিডর এবং ১৪১ কিমি ব্লক সেকশন জুড়ে প্রথম পর্যায়ে বসানো হয়েছে আইডিএস।
আরও পড়ুন : এসি লোকাল নিয়েই ‘বাড়াবাড়ি’, নিত্য ট্রেন লেট, রেলের উপরে তিতিবিরক্ত নিত্যযাত্রীরা
কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ: বাকি রয়েছে আরও ৪১৩ কিমি রাস্তা। তার মধ্যে ১৪৬ কিমি করিডরে দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন সেন্সর ব্যবস্থা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাকি অংশেও ওই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (Indian Railways) সূত্রে।
আরও পড়ুন : দুর্নীতি ঠেকাতে, স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ উদ্যোগ, রাজ্যের রেশন পরিষেবাকে ঢেলে সাজাতে তৎপর খাদ্য দফতর
এই প্রকল্পের জন্য মোট ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করে দিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (Indian Railways) কর্তারা। জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই সমগ্র প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই বিশেষ সেন্সর ব্যবস্থা পুরোটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর। এআই ব্যবহার করে রেললাইনে হাতি বা অন্য কোনও বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি শণাক্ত করে রেল চালকদের সংকেত পাঠাবে। এর ফলে বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার পাশাপাশি যাত্রী নিরাপত্তাতেও উন্নতি হবে।