বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) দেশজুড়ে কার্যকর হলেও বাংলায় এখনও সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি আসেনি। কেন আবেদন করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, তা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে বহু মানুষের মধ্যে। ভোটের আগে এবার সেই বিষয় নিয়েই তৎপর হয়ে উঠল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার কলকাতায় বিজেপির পক্ষ থেকে সিএএ নিয়ে বিশেষ বৈঠক তথা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কেন্দ্রীয় নির্দেশে জোর সিএএ (CAA) আবেদন প্রক্রিয়ায়
শুধু ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) নয়, নাগরিকত্বের প্রশ্নে সিএএ-কে (CAA) আরও গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। বিজেপির সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক বিএল সন্তোষ ও আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে,“যত দ্রুত ও যত বেশি সংখ্যক আবেদনপত্র জমা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।”
দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ (CAA) সহায়তা শিবির খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মতুয়া ও উদ্বাস্তু অধ্যুষিত জেলা, বিশেষত বনগাঁ ও নদিয়াকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে। এই দুই জেলার বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় তিনটি করে ক্যাম্প গঠনের নির্দেশ
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতিটি বিধানসভার অধীনস্থ প্রত্যেক এলাকায় তিনটি করে সিএএ (CAA) ক্যাম্প বা শিবির খুলতে হবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বকে জমা দিতে হবে। কারা এই কাজে দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁদের নাম-তালিকাও চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, এভাবেই ভোটের আগেই সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়ে সচেতন করা সম্ভব।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ ভাগের সময় কংগ্রেস যে পাপ করেছে, বিজেপি সেই পাপমুক্তির কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পাশে আছি। এটাই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। আমরা ক্যাম্প করব, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তাও দেব। বিজেপি যতদিন থাকবে, একজন উদ্বাস্তু হিন্দুকেও কেউ ছুঁতে পারবে না।”
আরও পড়ুনঃ শেষমেষ মা কালী কিনা প্রিজন ভ্যানে! কাকদ্বীপের ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর
বিজেপির এই পদক্ষেপকে (CAA) কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এসআইআর চালু হলে মতুয়াদের নামই সবচেয়ে বেশি বাদ যাবে। তারাই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তারাই এবার চিন্তা করুক।”