বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীপাবলিতে (Diwali) বাজি পোড়ানো উৎসব বললে ভুল কিছু হবে না। কারণ যত বাজে পোড়ানো সঙ্গে সঙ্গে দূষণের সরাসরি যোগাযোগ থাকুক না কেন। এই দিন বাজি পোড়ানোর থেকে নিজেকে কেউ বঞ্চিত করতে চায় না। কিন্তু বাজি পড়াতে গিয়ে এই দিন সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। একটু সতর্ক তাহলেই হাত-পা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার যদি বাজি পোড়াতে গিয়ে ত্বক পুড়ে যায় তখন কি করবেন আজকে প্রতিবেদনে তা জানানো হল।
দীপাবলির রাতে নিরাপদ থাকুন! বাজির দুর্ঘটনা ঠেকাতে মানুন এই নিয়ম (Diwali)
চিকিৎসকদের কাছে যান: হাত বা পায়ের কোন অংশ পুড়ে গেলে তাতে বাড়িতে অয়েনমেন্ট দিলে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ত্বকের বড় কোন অংশ বা মুখের কোন অংশ পুড়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই জায়গায় ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া বাচ্চাদের কোনভাবে বাড়িতে রেখে এই সময় চিকিৎসা করাবেন না (Diwali)।
আরও পড়ুন: শীতের ছুটিতে দার্জিলিং যাচ্ছেন? এই ৩ জায়গা না দেখলে ট্রিপটাই অসম্পূর্ণ
জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন: ত্বকের কোন অংশ পুড়ে গেলে বাড়িতেই চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তবে সেই ক্ষেত্রে সবার আগে জল দিয়ে পড়া জায়গাটা ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। তারপর সেখানে ঠান্ডা কিছু দিয়ে রাখবেন। এরপরে ওরা অংশে সিলভার নাইট্রেট জাতীয় অয়েলমেন্ট লাগিয়ে নিন। চাইলে পোড়া জায়গায় গজ দিয়ে বেঁধে রাখতে পারেন।
বাজি পোড়ানোর সময় সতর্ক থাকুন: যখন বাজি পড়াবেন তখন সুতির কাপড় পড়ে নেওয়া উচিত। এই সময় সিল অথবা জর্জেটের পোশাক এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি খালি পায়ে বাজি পোড়াবেন না। ও যেখানে বাজি পড়াবেন তার পাশে জলের কল বা জলভর্তি বালতি রাখুন। কারণ বাজে ধোঁয়ায় অনেক সময় শ্বাসকষ্ট অথবা চোখে জ্বালা হতে থাকে।
টুথপেস্ট লাগাবেন না: বাজি পড়াতে গেলে অনেক সময় হাতে পায়ে আগুনের ফুলকি লেগে যায়। তাই অনেকে সেই অংশের জ্বালা ভাব কমাতে টুথপেস্ট লাগায়। তবে সেটি ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সময় টুথপেস্ট এর জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিক অয়েনমেন্ট লাগাতে পারেন (Diwali)।
[এই প্রতিবেদন সচেতনতার জন্য লেখা। বাজিতে পুড়ে গেলে বা শরীরে কোনও ক্ষত হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে কোনও ওষুধ খেতে বা মলম লাগাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।]