বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তানের সম্পত্তি তার মা-বাবা বা অভিভাবক আদালতের অনুমতি ছাড়া বিক্রি করলে সেই বিক্রি বৈধ নয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সন্তান সেই বিক্রি বাতিল করে দিতে পারেন সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে মামলা করার প্রয়োজন নেই।
কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি পঙ্কজ মিঠাল এবং প্রসন্ন বি ভারাল-এর বেঞ্চ জানিয়েছে, নাবালক অবস্থায় বিক্রি করা সম্পত্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সেই সন্তান পুনরায় বিক্রি করে, তাহলে আগের বিক্রিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারিজ হয়ে যাবে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, নাবালকের সম্পত্তি বিক্রির জন্য আগে আদালতের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের (Karnataka) দাভানাগেরে জেলার শামানুর গ্রামে এক ব্যক্তি তাঁর তিন নাবালক ছেলের নামে দুটি জমি কিনেছিলেন। পরে তিনি আদালতের অনুমতি না নিয়ে সেই জমি অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেন। কয়েক বছর পর ছেলেরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর নিজেরা একই জমি আবার বিক্রি করেন। কিন্তু আগের ক্রেতারা আদালতে গিয়ে দাবি করেন যে জমিটি তো আগেই তাঁদের কাছে বিক্রি হয়েছে। ফলে শুরু হয় আইনি লড়াই।
আদালতের রায়ে কী বলল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট?
নিম্ন আদালত ছেলেদের পক্ষে রায় দেয়। তবে আগের ক্রেতারা সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট জানায়, ছেলেরা আলাদা করে বিক্রির বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি, তাই আগের বিক্রিই বৈধ থাকবে।
এরপর মামলাটি গিয়ে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেখানে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় বদলে দিয়ে জানায় যে নাবালকের সম্পত্তি বিক্রির আগে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। যদি অনুমতি না নিয়ে বিক্রি করা হয়, তাহলে সেটি বাতিলযোগ্য চুক্তি (voidable transaction)। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সন্তান চাইলে সেটি মামলা ছাড়াই বাতিল করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ ‘মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ২০ থেকে ১০ এ নামাব!’ দলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ হুমায়ূনের
বিচারপতিরা জানায়, “১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তির সম্পত্তি বিক্রির অধিকার তার বাবা-মা বা অভিভাবকের নেই, যদি না আদালত সেই অনুমতি দেয়।” এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে নাবালকদের সম্পত্তি নিয়ে অনৈতিক লেনদেন বা বিক্রির ক্ষেত্রে আইনি দিক আরও কঠোর হবে বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।













