বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমর্থন বাড়ছে, কিন্তু কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বারবার ব্যর্থতা ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে (BJP)। তাই এবার বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হচ্ছে বড় প্রস্তুতি। শুক্রবার সল্টলেকের দফতরে বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হল ‘ভোট ম্যাপিং’। লক্ষ্য, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝা।
কারা থাকছেন বিজেপির (BJP) বৈঠকে?
বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের এই বৈঠকে থাকছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও সহকারী পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব। সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং দলের অন্য শীর্ষ নেতৃত্বও। মূলত উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম ও যাদবপুর, এই চারটি সাংগঠনিক জেলার ভোট বিশ্লেষণই হবে বৈঠকের কেন্দ্রে।
দলীয় (BJP) সূত্রে খবর, গত কয়েকটি নির্বাচনে কোন আসনে কত ভোট পেয়েছে বিজেপি, তৃণমূলের সঙ্গে ব্যবধান কত, তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি কোথায় মুসলিম জনসংখ্যা বেশি, কোথায় তফসিলি ভোটের প্রভাব বেশি, সেইসব বিষয়ও আলোচনায় আসবে। দলীয় আন্দোলনের সাড়া কেমন মিলছে, কত বুথ কমিটি গঠন হয়েছে, এই সব তথ্যও উপস্থাপন করা হবে এই বৈঠকে।
উদ্দেশ্য একটাই যে, এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কলকাতা ও শহরতলির ভোটের রণকৌশল তৈরি করা। বিজেপি (BJP) মনে করছে, সঠিক ম্যাপিং ছাড়া শহুরে জনসংযোগ বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করছে নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটে কী দেখেছে বিজেপি?
বিজেপি (BJP) নেতারা বলছেন, লোকসভা ভোটেই কলকাতায় তাদের শক্তি বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। কলকাতা পৌরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। মাত্র ১০টি ওয়ার্ডে তারা অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল। দমদম এলাকায়ও তুলনামূলকভাবে ভালো ফল পেয়েছিল দল। এমনকি, বিজেপির দাবি সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভোট না পেলে দমদম লোকসভা তাদের হাতেই যেত। এই অভিজ্ঞতাকেই এবার ভিত্তি করছে রাজ্য বিজেপি। তাই চারটি লোকসভা এলাকার বর্তমান ভোট মেজাজ বুঝে ভবিষ্যতের কৌশল ঠিক করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুনঃ মা-বাবার বিক্রি করা নাবালকের সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারবে সন্তান! বড় রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট
সব মিলিয়ে, সল্টলেকের বৈঠককে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্লেষণ করেছে। গত নির্বাচনে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ফল ভালো না হলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে দল এবার শহরাঞ্চলেও শক্ত ঘাঁটি গড়তে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই শুরু হচ্ছে সূক্ষ্ম ভোট ম্যাপিং ও সংগঠন খতিয়ে দেখার কাজ।













