বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতি মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ছট পুজো (Chhath Puja)। চারদিন ধরে চলা এই পুজোর অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বেশি গুরুত্ব পায়। প্রথম দিন স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই পুজো। পরের দিন হয় শুদ্ধিকরণ। তারপর সন্ধ্যা বেলা প্রসাদ হিসেবে তৈরি করা হয় গুড়ের ক্ষীর। সারাদিনের শেষে এই প্রসাদ খেয়েই উপোস ভাঙেন ব্রত পালনকারীরা।
ছট পুজোর ইতিহাস ও তাৎপর্য জানুন এক নজরে (Chhath Puja)
এই পূজার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এখানে কোন রকমের মূর্তি পুজো করা হয় না। পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ও পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য উপবাস করেন বাড়ির পুরুষেরও। কিন্তু কেন এই করা হয় ছট পুজো (Chhath Puja)। আজকে প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে আপনাদেরকে জানানো হবে।

আরও পড়ুন: ভাইফোঁটার পরের দিন কমল হলুদ ধাতুর দর! জানুন আজকের লেটেস্ট রেট
আসলেই সূর্য দেবতা ব্রত পালনের উৎসব। এই উৎসবের সময় পূজিত হন স্বয়ং সূর্যদেব। শাস্ত্র মতে তার মধ্যে নিহিত থাকে প্রাণশক্তি। কারণ মনে করা হয় তার ভীষণ তেজে ধ্বংস হয় রোগ জীবানু। তাই সূর্যদেবের কৃপায় পরিবারের লোকজনের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এই পুজো করা হয়।
এছাড়াও সূর্যদেবের সঙ্গে পূজিত হয় ছঠি মাইয়া। কেউ কেউ একে ছোট ছট লক্ষীপূজোও বলেন। মতপার্থককে ছাঠি মাইয়াকে মা ষষ্ঠীর রূপ বা সূর্য দেবের বোন ও বলে মনে করা হয়। তাই এই পুজো করা হয় সূর্যদেব কে। এবং এই দিন সন্ধ্যা বেলায় ষষ্ঠী পুজো সন্ধ্যা দান করা হয় সান্ধ্য অর্ঘ্য।
কথিত আছে, রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয় করে ফিরে এসে পুজো করেন কুল দেবতার সূর্যের। সেই পুজো নাকি হয়েছিল ছট পুজোর সময়। তাই কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে কার্তিক শুক্লা সপ্তমী অব্দি চলে এই পুজো। এই ব্রত রয়েছে টানা ৩৬ ঘন্টা উপোসের উপাচারও। এটি নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে পালন করেন (Chhath Puja)।













