বাংলাহান্ট ডেস্ক: পৃথিবী সারাবছর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও কেবলমাত্র বছরের দুটো সময়েই সূর্য নিরক্ষরেখার ঠিক উপরে পৌঁছে যায়। আর তার ফলেই দিন এবং রাত সম্পূর্ণরূপে সমান ঘন্টায় বিভক্ত হয়। বছরের প্রথম বিষুব মার্চ মাসে এবং পরেরটি সেপ্টেম্বরে ঘটে থাকে। বিষুব দিনে নিরক্ষরেখায় একেবারে সোজাসুজি এসে পড়ছে সূর্যের আলো।
বিষুব শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল সমান। যেহেতু দিন এবং রাত সমান ভাগে বিভক্ত, তাই এটিকে বিষুবকাল বলা হয়। আমরা যাকে বিষুব বলে থাকি, তাকেই ইংরেজিতে বলা হয় ইক্যুইনক্স। এই পরিভাষাটি এসেছে দু’টি লাতিন শব্দের সমাহারে। লাতিনে ইকাস অর্থ সমান এবং নক্স অর্থ রাত। যে তারিখে রাত সমান, তাকেই বলা হচ্ছে ইক্যুইনক্স।
আরোও পড়ুন : চারিদিকে শুধুই সাদা বরফের চাদর! বসন্তেও তুষারপাতের সাক্ষী সান্দাকফু, ধরা পড়ল বিরল দৃশ্য
এর সূত্র ধরেই চলে উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ণের পালা। সেই সঙ্গে বছরে মোট দু’বার দিন এবং রাতের মেয়াদ সমান হয়। ১২ ঘণ্টা দিন এবং ১২ ঘণ্টা রাতের এই অবস্থানের দু’টি দিনকেই বিষুব নামে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। মার্চ বা বসন্তকালে যে দিনটি পড়ে, তাকে আমরা মহাবিষুব বা বসন্ত বিষুব নামে চিনি। ১৯ মার্চ ছিল বসন্ত বিষুব।
অন্য পক্ষে, সূর্য তার কক্ষপথে সাধারণত ২৩ শে সেপ্টেম্বর এমন এক অবস্থায় আসে যে তখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর সোজাসুজি কিরণ দেয়। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আবার যখন দিন আর রাতের মেয়াদ সমান হয়, সেই দিনটিকে আখ্যা দেওয়া হয় জলবিষুব বা শারদ বিষুব নামে। সেই সময়ে প্রকৃতিজগতে অবস্থান করে শরৎ ঋতু।