বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারের পর এবার বাংলা। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা SIR নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ঠিক কবে এ রাজ্যে শুরু হবে ভোটার তালিকায় (Election Commission) ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ, তা এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যেকোনো সময়ই নাকি SIR শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। এমতাবস্থায় রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোরে বেকায়দায় পড়েছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতাকে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। এমতাবস্থায় বিএলওদের ঢাল হয়ে দাঁড়াল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
এসআইআর এর আগে বঙ্গে বিএলওদের বার্তা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)
বাংলায় বিএলওদের স্বস্তি দিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এসআইআর শুরুর আবহে শাসক দলের একাধিক নেতাকে বিএলওদের নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিএলওদের সঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের গতিবিধির উপরে নজরদারি চালানোর, ভোটার তালিকায় নাম বাদ গেলে আন্দোলন করার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে একাধিক নেতাকে।

কী জানিয়েছে কমিশন: এই পরিস্থিতিতে বিএলওদের বড়সড় স্বস্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, এসআইআর শুরু হয়ে গেলে যাবতীয় ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকবে। এসআইআর এর সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মী বা আধিকারিককে বদলি করা যাবে না। এদিকে অনেক বিএলও আবেদনে জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটো কাজ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রেও বড় আপডেট এসেছে কমিশনের (Election Commission) তরফে।
আরও পড়ুন : ‘ঘর ওয়াপসি’ শোভনের, নয়া NKDA চেয়ারম্যানকে ভাইফোঁটায় কী দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
রাজ্যে কবে শুরু এসআইআর: জানানো হয়েছে, এসআইআর চলাকালীন অন্য কোনও কাজ বিএলওদের করতে হবে না। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে নোটিশ জারি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি দিল্লিতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারপরেই শোনা গিয়েছে, ওই বৈঠকে নাকি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যেকোনো দিন এসআইআর শুরু হতে পারে বঙ্গে।
আরও পড়ুন : কেটেছে জট, গোটা শহর জুড়বে মেট্রো, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটে পরিষেবা নিয়ে এল বিরাট আপডেট
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শাসক-বিরোধী তরজাও তীব্রতর হয়ে উঠছে। আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। গত নির্বাচনে ৭৭ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি কিন্তু এবার এসআইআর হলে ২৭ ও পেরোতে পারবে না, গেরুয়া শিবিরকে এই সুরেই কটাক্ষ শানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এসআইআর হলে বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলির এসসি, এসটি, তফসিলি এবং মতুয়াদের সবথেকে বেশি নাম বাদ যাবে। অসমের অবস্থা দেখেই মতুয়ারাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির খোঁচা, এসআইআর হলে ১ কোটি নাম বাদ যাবে বলেই সরব হয়েছে তৃণমূল।













