বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কালী মূর্তি ভাঙার ঘটনায় উত্তপ্ত বাংলা, উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কাকদ্বীপ (Kakdwip) বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের ঘটনায় একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে নারায়ণ হালদার নামের এক ব্যক্তিকে। এই নারায়ণকে ঘিরেই এখন উত্তেজনা তুঙ্গে।
তৃণমূলের দাবির পাল্টা দাবি অভিযুক্তের বাবার | Kakdwip Case
শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জোর গলায় দাবি করেছেন, ‘এই নারায়ণ হালদার ওখানে বিজেপির যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত। সেটা বারবার সমস্ত জায়গা থেকে এসেছে।’ কুণাল ঘোষের কথায়, পুলিশের হাতে ধৃত নারায়ণ হালদার বিজেপি করে। এদিকে সেই দাবি উল্টে দিয়ে পাল্টা ধৃতের বাবা বলছেন, ‘বাবার সময় থেকে আমরা সবাই তৃণমূল করি।’
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারায়ণ হালদারের বাবা ভূপতি হালদারের দাবি, ‘ মূর্তি কারা ভেঙেছে, বলতে পারব না। সেই ঠাকুর উপলক্ষ করে পাঁচ-সাত জন ছেলে এক জায়গায় বসে সেখানে অনুষ্ঠান চলছে সেখানে গল্প-গুজব করুক বা নেশা বা যাই করুক বুঝতে পারছি না। তাকে চিহ্নিতভাবে একজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভূপতিবাবু বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো ছেলে, ফার্নিচারের কাজ করে। আমি নিজে ঠাকুর ভক্ত। হরিভক্ত। আমি অনেক জায়গায় ঠাকুর দিয়েছি। দান করি। কম করে। আমি গরিব মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাইছি, কেন শুধুমাত্র আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল আর বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হল।’
এরপরই স্পষ্ট কথায় তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে তৃণমূলের সদস্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার ছেলে আমরা সবাই টিএমসি করি, আমার ছেলেও তৃণমূল করে। ও বোকা-টোকা ছেলে। কোনও বিজেপির ধারের কাছে যায় না। কোনও বিজেপির ছেলের সাথে মেশে না। ও কীভাবে বিজেপি করবে।’ কুণাল ঘোষের দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে বলেন ভূপতিবাবু। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।

বিরোধীদের তোপ, তৃণমূল নিজের লোককেই ফাঁসাচ্ছে বিশেষ এক সম্প্রদায়কে বাঁচানোর জন্য। এমনকি সংশ্লিষ্ট পুজো উদ্যোক্তারাও বলছেন নারায়ণ হালদার তৃণমূল করে। বিজেপিও পরিষ্কার করেছে নারায়ণ হালদার নামে কেউ বিজেপির যুব মোর্চার সাথে যুক্ত নন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নারায়ণ হালদার স্বীকার করেছেন মধ্যপ অবস্থায় তিনি ওই কাজ করেছেন। এদিকে বিজেপি বলছে, নিজের দলকে বাঁচাতে নিজেকেই ‘বলি’ দিয়েছেন তৃণমূলের নারায়ণ।













