বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভোট পরব শিয়রে। প্রার্থী ঘোষণাও প্রায় শেষের দিকে। এসবের মধ্যে সকলের নজর রয়েছে বিষ্ণুপুরের উপর। কারণ এই কেন্দ্র থেকেই একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছেন বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) এবং তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা খাঁ (Sujata Mondal Khan)। যদিও সুজাতা খাঁকে যে তৃণমূল ভীষণ আগ্রহের সঙ্গে প্রার্থী করেছে এমনটা নয়। নাম ঘোষণার দিন ব্রিগেডের সভায় তো সুজাতার নামটাই ভুলে গেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের খবর, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত কোনও মুখ পাওয়া যাচ্ছিলনা বলেই সুজাতা খাঁয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারপর থেকেই জোরসোরে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। শুরুর থেকেই সুজাতার নিশানায় রয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। একাধিক নারীসঙ্গর অভিযোগ থেকে শুরু করে ভোটারদের ধমকি দেওয়ার মত অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে।
আর এতেই নাকি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত বুধবার তাকে পার্টি অফিসে ডেকে ধমকও নাকি দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, প্রচারে হাতজোড় করে ভোট চাওয়া ছাড়া যেন আর কিছু না করা হয়। আসলে প্রচারের প্রথম দিন থেকেই বিরোধী প্রার্থী তথা প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্রকে আক্রমণ করে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘বিজেপিকে রুখতে না পারলে…’, মমতার সমর্থনে বিশেষ আয়োজন নচিকেতা-গর্গদের
ইতিপূর্বে প্রচারের কাজে বাঁকুড়ার ময়নাপুরে গেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। সেখানে শাসকদলের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদে তাদের চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। পাল্টা জবাবে সুজাতা বলেন, ‘চোখ উপড়ে নেওয়া, মানুষের মাথা কেটে নেওয়া, হাত-পা ভেঙে দেওয়ার বাইরে উনি কী কাজ করতে পারেন, তা আমার জানা নেই। দীর্ঘদিন এইরকম ভাবে আমাকে ঘরে অত্যাচার করত। তাই প্রাণ ভয়ে আমি বেরিয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন : হিন্দু নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা! দেড় বছর পর দোষী সাব্যস্ত শাহরুখ
এখানেই শেষ নয়। অপর একদিন প্রচারে বেরিয়ে সুজাতা সৌমিত্র খাঁকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘গাড়ি, বাড়ি, সম্পত্তি আর রক্ষিতা নিয়ে ফূর্তি করেছেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী!’ আর ওন্দা ব্লকে তো সোজা ভোটারদেরই ধমক দিতে শুরু করেন সুজাতা। তিনি বলেন, ‘তোমরা ভোট দেওয়ার সময় বড় ফুলে দিচ্ছ, আর চাওয়ার বেলায় ছোট ফুলের কাছে চাইতে আসছ, এবার আমি ক্লিয়ার কাট বলছি, তাতে মিডিয়া থাক, যেই থাক, আই ডোন্ট কেয়ার, যদি তৃণমূল ভোট না পায়, তাহলে তৃণমূলের কেউ তোমাদের অভিযোগ শুনতে আসবে না, তোমরা বিজেপির সঙ্গে বুঝে নেবে।’