বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করার পর থেকেই সন্দেশখালি কাণ্ডে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যেই এই মামলায় শাহজাহানের ভাই সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে গোয়েন্দাদের নজরে আরও অনেকে আছে বলে খবর! সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ব্যক্তির নাম।
ইডির ওপর হামলার ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মিনাখাঁয় উপস্থিত হয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানকার একটি ইটভাটায় হানা দেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, এই ভাটার কর্ণধার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ রূপে পরিচিত। পাশাপাশি এখানকার একজন কর্মী ইডি পেটানোর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। আইজুল নামের সেই কর্মীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গোয়েন্দারা ইটভাটায় হাজির হয়েছিলেন বলে অনুমান।
মিনাখাঁর ইটভাটায় হানার পাশাপাশি সিবিআইয়ের আরেকটি দল শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হাজির হয়েছিল। আলি হোসেন ঘরামি নামের সেই মাছ ব্যবসায়ীও সিবিআই স্ক্যানারে আছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ মিনাখাঁর ইটভাটা ঘিরে ফেলল CBI! কীসের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা? শোরগোল
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে তাঁর বাড়ির ভেতর ঢুকতে পারেননি। উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়ে কার্যত প্রাণ হাতে করে পালাতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের।
শাহজাহান অনুগামীদের বিরুদ্ধে ইডির ওপর ‘পরিকল্পিত হামলা’র অভিযোগ ওঠে। এদিকে সেদিন থেকেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। প্রায় ৫৫ দিন ফেরার থাকার পর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ইডি পেটানোর ঘটনার পর প্রায় দু’মাস কোথায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান? তাঁকে কারা সাহায্য করেছিল? এখন এমনই নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।