বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস, সৌদি থেকে ইমাম আনছেন হুমায়ুন কবীর

Published on:

Published on:

Humayun Kabir Announces Babri Masjid Foundation in Beldanga

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হবে।বছর খানেক আগে এমনই ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। এবার ফের শিরোনামে তিনি। সম্প্রতি তিনি জানালেন, আসন্ন ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় সেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবে, আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সৌদি আরব থেকে আগত এক ইমাম।

বিধায়কের (Humayun Kabir) দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এমনকী, জম্মু-কাশ্মীর থেকেও অনেকেই আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জানান, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছেন। জম্মু-কাশ্মীর থেকেও অনেকে সাহায্য করতে চেয়েছেন।”

সৌদি ইমামকে আনতে তৈরি হবে অস্থায়ী হেলিপ্যাড

বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে সৌদি আরব থেকে ইমাম কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন বলে জানান হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। সেখান থেকে তাঁকে হেলিকপ্টারে বেলডাঙায় নিয়ে যাওয়া হবে। এজন্য এলাকাতেই তৈরি হবে অস্থায়ী হেলিপ্যাড।

এই প্রসঙ্গে বিধায়ক জানান, “সৌদি আরব থেকে ইমাম আসবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর সরাসরি হেলিকপ্টারে বেলডাঙা পৌঁছবেন। তাই এখন থেকেই হেলিপ্যাডের কাজ শুরু করতে হবে।” এই ঘোষণার পর আবারও চর্চার কেন্দ্রে ভরতপুরের এই বিধায়ক। কারণ, গত কয়েক মাসে দলের একাধিক পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তিনি।

দলের অস্বস্তির মধ্যেও ‘আত্মসম্মান’ আঁকড়ে হুমায়ুন (Humayun Kabir)

প্রসঙ্গত, হুমায়ুনের (Humayun Kabir) একের পর এক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তাতে বিশেষ মাথাব্যথা নেই হুমায়ুন কবীরের। নিজের অবস্থানে তিনি অনড়। তিনি বলেন, “৩০ বছর কংগ্রেস করেছি। নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্যই দল ছেড়েছিলাম।”

কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গে তাঁর ঘোষণা ঘিরে ফের শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

Humayun Kabir Announces Babri Masjid Foundation in Beldanga

আরও পড়ুনঃ ২০০২-এর লিস্টেই ধরা পড়বে নাগরিকত্ব! কিভাবে দেখবেন তালিকা? জানুন বিস্তারিত

তবে আপাতত কিছুদিন নিজের মন্তব্য থেকে বিরতি নিচ্ছেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। তিনি জানান, “২ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি সফরে দার্জিলিং যাচ্ছি। তাই আপাতত কোনও মন্তব্য করব না।” কিন্তু একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,”ফিরে এসে যা বলার আবার বলব।” এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।