বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি বড়সড় বদল এসেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Higher Secondary) নিয়মে। চলতি বছর থেকেই সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ এবার থেকে আর এক দফায় পরীক্ষা হবেনা। এবার থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে রাজ্যের পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য যে, পরীক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাতেও একাধিক বদল এনেছে পর্ষদ।
তবে এই নয়া সিদ্ধান্তে পড়াশোনার মান কতটা ঠিক থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত খোদ পর্ষদও। সূত্রের খবর, পড়াশোনার মান ঠিক রাখার জন্য পঠন পাঠনেও বেশকিছু বদল আনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে সংসদ। যার মধ্যে একটি হল পাশ ফেলের পদ্ধতি। ইতিমধ্যেই পাশ-ফেল নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সংসদে।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, নয়া পদ্ধতিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মোট ৪টি সেমিস্টারে পরীক্ষা দিতে হবে। যার মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার থেকে পাশ ফেলের বিষয়টাই তুলে দিতে চাইছে পর্ষদ। এই দুই সেমিস্টার মিলিয়ে ৩০ শতাংশ পেলেই পরের সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হতে পারবেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই সুখবর! বড় ঘোষণা রেলের, খুশিতে লাফাচ্ছে যাত্রীরা
পরীক্ষা ব্যবস্থার এই নয়া নিয়ম সামনে আসতেই হাজার একটা প্রশ্ন তুলছে আম জনতা থেকে শুরু করে শিক্ষক মহলের একাংশ। শিক্ষক মহলের দাবি, এই নয়া ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান খারাপ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে সংসদ সভাপতির দরবারে। তাদের দাবি, এতে করে পড়ুয়াদের মনে ফেল করার আর কোনও ভয় থাকবেনা এবং পড়াশোনার মান অনেকটাই নিচে নেমে যাবে।
আরও পড়ুন : বিরাট ঝটকা, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেপ্তার অরবিন্দ কেজরিওয়াল
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা অনুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন, ‘প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারে মাত্র ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই চলবে। অর্থাৎ ৩৫ ও ৪০-র মধ্যে একজন পড়ুয়াকে মাত্র ১০-১২ নম্বর পেতে হবে। এই নিয়মে একটি সেমেস্টারে শূন্য ও পরেরটিতে ৩০ পেয়ে পাশ করিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে না।’ প্রতিটা সেমেস্টারে পাশ-ফেল রাখার দাবি তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : আর নয় ভিড়ে ঠেলাঠেলি, আরামে সফর শিয়ালদা লাইনে! বিরাট তথ্য দিল পূর্ব রেল
এইসব তর্ক-বিতর্কের পর বিষয়টি নিয়ে ফের একবার পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে সংসদ। একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করে এই বিষয়টি নিয়ে ফের একবার পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। এইদিন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তাদের মত জানার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’