বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপরতা বাড়াল ইডি (ED Raid)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে অভিযান। আলো ফোটার আগেই বেলেঘাটার ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোডে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই ঠিকানার মালিক দুই ভাই বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও রণজিৎ চৌধুরী। পেশায় দু’জনেই ব্যবসায়ী। বিশ্বজিৎ কাপড়ের ব্যবসায়ী, রণজিৎ যুক্ত নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে।
সকাল সাতটা নাগাদ ৬ জন ইডি আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান তাঁদের বাড়িতে (ED Raid)। তবে তখন বাড়ির মূল দরজা বন্ধ। দীর্ঘ সময় গেটে ধাক্কা দিয়েও কোনও সাড়া না মেলায় পাশের একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য নিতে হয় তদন্তকারীদের। তিনিই শেষমেশ দরজা খুলে দেন।
পুর দুর্নীতির সূত্রেই অভিযান ইডির (ED Raid)
সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন নথি ও লিঙ্কম্যানদের খোঁজেই এই অভিযান (ED Raid)। শুধু বেলেঘাটা নয়, একইসঙ্গে শহরের আরও চারটি জায়গায় মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়েছে বলে খবর। তবে এখনই স্পষ্ট নয় ঠিক কার নামে মামলা বা কোন কেসে এই অভিযান। ইডি আধিকারিকরা বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। রণজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমাদের কিছুই বলা হয়নি। আমরা দুই ভাই পেশায় ব্যবসায়ী। আমার ১৯৯৬ সাল থেকে রিয়েল এস্টেট ও কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা চলছে। পুরীতেও দুটি হোটেল রয়েছে।”
মন্ত্রীর বাড়ি থেকে লিঙ্কম্যানদের খোঁজ?
এই অভিযান (ED Raid) পুরনো সূত্রেরই সম্প্রসারণ কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। কিছুদিন আগেই রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। মন্ত্রীর পুত্রের রেস্তোরাঁয়ও তল্লাশি চলে। সূত্রের দাবি, সেই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি, ডিজিটাল ডিভাইস এবং হিসাব দিতে না পারা প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। তাই কি সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবারের এই অভিযান? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূলের জয়, তবুও আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অভিষেকের, কেন?
উল্লেখ্য, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আগেই সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার ব্যবসায়ী ভাইদের বাড়িতে অভিযান (ED Raid) ঘিরে ফের চাঞ্চল্য। ইডির দাবি, পুর প্রকল্পের অর্থ বণ্টনে দুর্নীতির নথি ও প্রমাণ খুঁজতে একাধিক ঠিকানায় একযোগে অভিযান চলছে।













