বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। একসাথে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকায় প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই নোটিস পেয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রশান্ত কিশোর।
নির্বাচন কমিশনের নোটিসের কী প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)?
নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারসভা থেকে সরাসরি কমিশনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আমি যদি আইন ভেঙে থাকি, তবে নোটিস না পাঠিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করুন।”
কমিশনের অভিযোগ, দুই রাজ্যের ভোটার তালিকাতেই নাম পিকে-র
কমিশন সূত্রে খবর, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) নাম রয়েছে বলে। মঙ্গলবারই সেই অভিযোগে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয় তাঁকে। কমিশনের দাবি, বিহারের রোহতাস জেলার সাসারাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত করহগর বিধানসভা কেন্দ্র এবং দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র, দু’জায়গাতেই ভোটার হিসেবে নাম রয়েছে পিকে-র। এমনকি তাঁর নামে দু’টি ভোটার কার্ডও নথিভুক্ত আছে।
ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৯৫০ সালের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম থাকা বেআইনি। সেই কারণেই গত ২৮ অক্টোবর করহগর বিধানসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে প্রশান্তের জবাবদিহি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কমিশন উল্লেখ করেছে, ভবানীপুরের ২১বি রানিশঙ্করী লেনের সেন্ট হেলেন স্কুলের বুথে প্রশান্তের নাম নথিভুক্ত রয়েছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি করহগর বিধানসভা কেন্দ্রের বুথের নম্বর, বিহারের ঠিকানা ও তাঁর সচিত্র পরিচয়পত্রের তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।
প্রশান্ত কিশোর অভিযোগ উড়িয়ে না দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলে যে, “আমি ২০১৯ সাল থেকে আমার গ্রাম কোনারের একজন নিবন্ধিত ভোটার। কিন্তু আমি দু’বছর কলকাতায় ছিলাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানেও রেকর্ড রয়ে গিয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। সেই সময় ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে তাঁর ঠিকানা হিসেবে নথিভুক্ত হয় ১২১ নম্বর কালীঘাট রোড। পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিহারে নিজস্ব রাজনৈতিক দল জন সুরাজ পার্টি গঠন করেন তিনি। বর্তমানে সেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে প্রচারে নেমেছেন।













