বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে এই এলাকার একজন পটোদারের ঘরে তৈরি হচ্ছিল মা জগদ্ধাত্রীর মূর্তি। শিল্পীর কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু মাঝরাতে কিছু অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা ঢুকে একাধিক প্রতিমা ভাঙচুর করে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ঠিক কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে স্থানীয় মানুষজন ঘুম থেকে উঠে দেখে একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে এবং মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। কর্যতই হতভম্ব হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বুধবার সকালে এক্স (X) হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জগদ্ধাত্রী প্রতিমা গুলির ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, “ছবিগুলি পশ্চিমবঙ্গের মন্দিরবাজারের বটতলা এলাকার ঘটনা, মনে হচ্ছে বাংলাদেশ কেও পেছনে ফেলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ !!!”
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?
এরপর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘটনা প্রসঙ্গে আরও লেখেন যে, “গতকাল রাতে মন্দির বাজারের মল্লিকপুর গ্রামের বটতলাতে একজন পটোদারের ঘরে তৈরী হয়ে যাওয়া একাধিক মা জগদ্ধাত্রী’র প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে, প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হিন্দুদের পুজো হবে তাই প্রতিমা ভাঙচুর করতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা বাড়ছে।”
এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু লেখেন , “হিন্দুদের আস্থা, বিশ্বাসে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দান করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সীমাহীন তোষণ আর পুলিশের প্রশ্রয়ের ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা। এই তোষণকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার সরকারকে বিদায় না জানানো অবধি এই পরিস্থিতি বদলাবে না।”

আরও পড়ুনঃ ‘SIR হোক, ক্ষতি কী?’, অনুব্রতর পাল্টা সুরে অস্বস্তিতে তৃণমূল
সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজায় ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, তৃণমূলের তোষণনীতি ও পুলিশের নীরব সমর্থনেই রাজ্যে হিন্দুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। অন্যদিকে, তৃণমূল সূত্রের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনাকে ধর্মীয় রঙ দিতে চাইছে।













