কবে SSC-র শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশ? অপেক্ষার মাঝেই অবশেষে সামনে এল দিনক্ষণ

Published on:

Published on:

ssc exam(2)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু টালবাহানার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে অপেক্ষায় কয়েক লক্ষ। দীর্ঘ ৯ বছর পর হয়েছে এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই মিটেছে (SSC Exam)। এবার এসএসসির ফল প্রকাশের দিনক্ষণ সামনে আসছে।

৭ তারিখের মধ্যেই এসএসসির ফলপ্রকাশ | SSC Exam

সম্প্রতি জানা যাচ্ছিল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফল নভেম্বরের প্রথম দিকে বের হতে পারে। এবার জানা গেল নভেম্বরের ৭ তারিখের মধ্যেই এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, ফলপ্রকাশের পরেই জেলায় জেলায় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ডিসেম্বর ডেডলাইনের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তৎপর এসএসসি।

সম্প্রতি এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষকপদে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার। মোট ৩৫ হাজার ৭২৬টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

উল্লেখ্য, এসএসসি তে মোট ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন। এবার তাদের ভাগ্যপরীক্ষা। কারা হারানো চাকরি ফের নিজের যোগ্যতায় ফিরে পাবেন, কারা নতুন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা হবেন, অপেক্ষা মাত্র কয়েকদিনের।

উল্লেখ্য, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির জেরে গত বছর এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে সর্বোচ্চ আদালতও সেই রায়ই বহাল রাখে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ওই বছরের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে একধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়।

SSC exam

আরও পড়ুন: সব মামলায় জামিন পেয়েও জেলবন্দী! মুক্তি পেতে এ বার বড়সড় পদক্ষেপ, কি করতে চাইছেন পার্থ?

ডেডলাইন বেঁধে সেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মে মাসের মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতোই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে কমিশন।