বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনো অব্দি ঠিকঠাক ভাবে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেনি। তবে আর কিছুদিনের মধ্যেই শীতকাল আসছে। এই সময় মানুষের খাদ্যাভাসের স্টাইল এর পরিবর্তন হয়। যার ফলে মানুষের শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে শরীরে বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। এই সময় মানুষের ব্যায়াম করার প্রবণতাও কমে যায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই শীতে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা এবং শরীরে প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তন হয়। যার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই শীতকালে বিশেষ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা একান্তই প্রয়োজন (Health Tips)।
ঠান্ডায় বেড়ে যায় সুগার লেভেল, ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন? (Health Tips)
শীতকালের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ার বিষয় চিকিৎসকরা জানান, প্রধানত এই সময় যেহেতু ব্যায়াম কম করা হয় তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর যাদের ডায়াবেটিসের রোগী তাদের এই সময় একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি বা ভাজা খেলে পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে (Health Tips)।

আরও পড়ুন: ওজন ঝরাতে চান? সকালে খালি পেটে এই ৫ পানীয় পান করলে ফ্যাট গলবে সহজেই
তাই এই সময় কম কার্ব যুক্ত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কমিয়ে ফেলতে হবে মিষ্টি জাতীয় খাবার-দাবার খাওয়া। তাছাড়া প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় শীতকালে বহু মানুষ জল কম খান। যদি এমন করেন তাহলে সেই অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।
পাশাপাশি ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন নিয়ম করে সুগার লেভেল পরীক্ষা করতে হবে। এবার আপনার যদি সুগার লেভেল বেড়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে একান্তই পরামর্শ করা প্রয়োজন। এছাড়াও কোন ব্যক্তির যদি ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। অথবা কারো যদি অতিরিক্ত দেশটা পায় ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির মতন লক্ষণগুলি অনুভব করেন। তাহলে সেগুলো শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে। তাই এইসব লক্ষণ দেখা দিলে সবার আগে সুগার পরীক্ষা করা একান্তই দরকার।
সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন বিষয়গুলিকে মাথায় রাখতে হবে:
চিকিৎসকদের মতে, যদি কোনও ব্যক্তির সুগারের সঙ্গে ব্লাড প্রেসার থেকে থাকে তাহলে তাকে প্রতিদিন নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া একান্তই প্রয়োজন। এছাড়াও কম করে আট ঘন্টা প্রতিদিন ঘুমোতে হবে। মানসিক চাপ কোনভাবেই নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি শরীরচর্চা ও ধ্যান করতে হবে (Health Tips)।













