বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের ব্যস্ততার মাঝেই জোর ধাক্কা! দামোদর থেকে বালি লুটের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানির কথায়, তিনি এসবের মধ্যে থাকেন না, অভিযোগ মিথ্যে। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির (TMC)।
মাস খানেক আগে জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সভাপতি সাহাবুদ্দিনের নামে বিএলএলআরও (বর্ধমান ২) সৌরভ রক্ষিত অভিযোগ করেন। শক্তিগড় থানায় সেই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের চক্ষণজাদি গ্রাম নিবাসী সাহাবুদ্দিন পঞ্চায়েতের পূর্ত সঞ্চালক পদেও আসীন।
বিএলএলআরও-এর দায়ের করা FIR অনুযায়ী, দামোদরের বুকে বেআইনি খাদান খুলে বালি লুট (Sand Smuggling) করা হচ্ছিল। খবর পাওয়া মাত্রই গত ৮ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান ২ ব্লকের গোপালপুর মৌজায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পুলিশ, ক্ষুদ্র ও খনিজ দফতরের বিভাগীয় আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা, মহকুমা (বর্ধমান উত্তর) এবং ব্লকের ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ খেলা হবে! প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণের বিরুদ্ধে লড়াই! শ্রীরামপুরে BJP-র তুরুপের তাস কবীর শঙ্কর
তাঁদের দেখামাত্রই বেশ কিছু জন পালিয়ে যান। তবে বালি নেওয়ার জন্য চারটি ডাম্পার তখনও সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর সেই চারটি ডাম্পার বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় একজন চালককে। FIR অনুসারে, সংশ্লিষ্ট চালককে জেরার পর উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাহাবুদ্দিনের নাম। গোপালপুর মৌজার সেই বেআইনি বালি খাদান স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাহাবুদ্দিন চালান বলে জানান সেই চালক।
তাঁর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্ষুদ্র ও খনিজ আইনের বেশ কিছু ধারায় সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন বিএলএলআরও। এরপর তিনি বলেন, FIR দায়ের করা হয়েছে, এবার পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বালি কারবারিতে তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোর পরেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হল প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে জামালপুরের বিধায়ক বলেন, সরকার এবং দলের নির্দেশ যদি কেউ অমান্য করে তাহলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। দলের সদস্য হলেও ছাড় পাবেন না বলে জানান তিনি। অপরদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সাহাবুদ্দিনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।