টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে বাংলার লড়াই প্রশংসনীয়, বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেল রাজ্য সরকার

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিশু এবং কিশোরদের টাইপ ১ ডায়াবেটিসের (Diabetes Type 1) চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রশংসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মডেল। রাজ্যের অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য মডেল আগেই পেয়েছিল বিশ্বমানের স্বীকৃতি। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবেটিস (Diabetes Type 1) মাস কয়েক আগে ২০২৫ সালের বেছে নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সম্প্রতি এসএসকেএম-এ এসে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের (Diabetes Type 1) বিরুদ্ধে বাংলার লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন হার্ভার্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

ডায়াবেটিস টাইপ ১ (Diabetes Type 1) এর বিরুদ্ধে বাংলার লড়াই

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক জিন বুখম্যান অসংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে সমগ্র বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি সম্প্রতি এসএসকেএম-এ এসে টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Diabetes Type 1) রোগের বিরুদ্ধে বাংলার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা বহু সমস্যা ডেকে নিয়ে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে মানুষের অনিয়মিত জীবনযাত্রা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

West Bengal government praised for diabetes type 1 treatment

শিশুদের হচ্ছে এই রোগ: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষা বলছে, এই রোগ এখন আর চল্লিশোর্ধ মানুষের মধ্যে আটকে নেই। শিশু এবং তরুণ তরুণীদের মধ্যে এই রোগ ছিল বিরল। কিন্তু এখন তাতেই আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে শিশুদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ভারতে প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে একজনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

আরও পড়ুন : টিআরপি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে, তবুও হল না শেষরক্ষা, কয়েক মাসেই বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় সিরিয়াল!

কেন হয় টাইপ ১ ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস (Diabetes Type 1) মূলত দুই ধরণের, টাইপ ১ এবং টাইপ ২। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মূলত জিনগত সমস্যার কারণে টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Diabetes Type 1) হয়ে থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে একে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলে।

আরও পড়ুন : ‘শাড়িতে ভালো লাগে…’, অগুন্তি মহিলাদের একই মেসেজ! ‘হেনস্থা’র অভিযোগে মুখ খুললেন ঋজু

উল্লেখ্য, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে প্রতি জেলায় এনসিডি ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং নার্স ইনসুলিন, ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং কিট দেওয়া হয়।