বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) একটি দফতরে আলো নিভিয়ে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ এতটাই চরমে পৌঁছল যে প্রাণ হারাতে হল এক ম্যানেজারকে। শনিবার গোবিন্দরাজনগরের একটি ভিডিও প্রোডাকশন অফিসে সহকর্মীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ভীমেশ বাবু নামে ৪১ বছরের এক ম্যানেজার। অভিযুক্ত সহকর্মী, ২৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ার সোমালা ভামসি ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে পরে নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চলছে।
বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) মর্মান্তিকভাবে খুন সহকর্মীকে
পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিত্রদুর্গের বাসিন্দা ভীমেশ দীর্ঘদিন ধরে ওই অফিসে যুক্ত ছিলেন। সহকর্মীদের বক্তব্য, উজ্জ্বল আলোয় তাঁর চোখে সমস্যা হতো। তাই তিনি কাজ শেষ হওয়ার পর নিয়মিতই সহকর্মীদের আলো বন্ধ করতে বলতেন। শনিবারও দুপুর প্রায় ১টা নাগাদ সেই অনুরোধ করেন ভামসিকে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্ক ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় (Bengaluru)।
আরও পড়ুন:দুর্ঘটনা নয়, জুবিনের মৃত্যুকে ‘খুন’ বলেই দাবি, চার্জশিট নিয়ে ফের বিষ্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী
অভিযোগ, উত্তপ্ত বিতর্ক চলাকালীন ভীমেশ ভামসির চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেন। এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভামসি। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি অফিসে থাকা ভারী ডাম্বল তুলে ভীমেশের মাথা, মুখ এবং বুকে একাধিক আঘাত করেন। গুরুতরভাবে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ভীমেশ। পরিবেশ মুহূর্তে আতঙ্কের হয়ে ওঠে। ঘটনার পর ভামসি সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহায্য চান। তড়িঘড়ি ভীমেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন (Bengaluru)।
ভামসি পরে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং ঘটনার বর্ণনা দেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাৎক্ষণিক উত্তেজনা থেকেই এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। কোনও পূর্বপরিকল্পনার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি, যদিও পুলিশ সবদিকেই তদন্ত করছে। অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ (Bengaluru)।

আরও পড়ুন: বিস্তৃত হচ্ছে বাণিজ্যের পরিসর! এবার এই দেশের সঙ্গে ট্রেড ডিল সম্পর্কিত আলোচনা শুরু ভারতের
এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অফিস চত্বরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মীদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে আলো বন্ধ করার মতো সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে এত বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। বেঙ্গালুরুর কর্পোরেট দুনিয়ায় এই ঘটনা নিরাপদ ও সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার প্রশ্নও নতুন করে উত্থাপন করেছে (Bengaluru)।
পুলিশ জানিয়েছে, ভামসির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দফতরের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পর তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে বলে জানা গেছে। পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দাহক্রিয়া সম্পন্ন হবে চিত্রদুর্গে। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে ঘিরে শোকস্তব্ধ পরিবার, সহকর্মীরা। প্রশ্ন উঠছে, কর্পোরেট অফিসে মানসিক চাপ ও বিরোধ নিষ্পত্তির যথাযথ পদ্ধতি কি যথেষ্ট পরিমাণে আছে? সামান্য বিবাদই কীভাবে প্রাণঘাতী সহিংসতায় পরিণত হয়– সেই প্রশ্নই এখন আলোচনায় (Bengaluru)।












