হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী শেখ সিরাজউদ্দিনের, পরিবারের দাবি ‘SIR আতঙ্কে’ মৃত্যু

Published on:

Published on:

SIR Panic Death in East Midnapore Sparks Political Row

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে ফের এক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, এসআইআর (SIR) আতঙ্কেই প্রাণ গেল স্থানীয় ওই ব্যক্তির। মৃতের নাম শেখ সিরাজউদ্দিন। বয়স প্রায় ৫৮। তাঁর পরিবার এবং গ্রামবাসীর দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ার ঘোষণা হতেই প্রবল মানসিক চাপে পড়েছিলেন তিনি। আর সেই আতঙ্কেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর।

এসআইআর (SIR) আতঙ্কে মৃত্যু

রামনগর ১ ব্লকের কাঁটাবনি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সিরাজউদ্দিনের পূর্বপুরুষদের কেউ বাংলাদেশ বা অন্য কোনও রাজ্য থেকে আসেননি, দাবি স্থানীয়দের। বহু বছর বিদেশে কাজ করার পর দেশে ফিরে দিঘায় একটি হোটেল খুলেছিলেন তিনি। রবিবার কাগজপত্র মিলিয়ে দেখার সময় হঠাৎই চোখে পড়ে বাবার নামের ভুল। একটি জায়গায় লেখা আছে শেখ, আরেক জায়গায় আবদুল। এই সামান্য অমিলই তাঁকে গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পরিবার জানিয়েছে, ভুল সংশোধনের ব্যাপারে ক্রমাগত চিন্তা করছিলেন তিনি।

এরপর রবিবার সন্ধেয় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজউদ্দিন। দ্রুত তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। মৃতের পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, ছয় কন্যা ও দুই পুত্র। তাঁর মামা শেখ আবু বক্কর আলি বলেন, “ভাগ্না বলেছিল, বাবার নামটা এক জায়গায় শেখ, এক জায়গায় আবদুল, এটা ঠিক করতে হবে। এরপর থেকেই বেশ অস্থির ছিল। মনে হয় SIR নিয়ে যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতেই ভয় পেয়েছিল।”

রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “উনি সুস্থই ছিলেন, সকলে কথা বলেছেন। তবে সকাল নাগাদ মারা যান। বাকিটা স্থানীয়রা বলবে।” অন্যদিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র দাবি করেছেন, “এই মৃত্যু SIR আতঙ্কে হয়নি। আতঙ্কিত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, ওরাই রাজনীতি করছে এই মৃত্যু নিয়ে।”

SIR Panic Death in East Midnapore Sparks Political Row

আরও পড়ুনঃ ‘আমার ভাই পরীক্ষা পাস করেই চাকরি পেয়েছে’, অযোগ্য তালিকায় নাম উঠতেই সাফাই তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজ্যে এসআইআর (SIR) আতঙ্কে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সাতজনের মৃত্যু ঘটেছে। প্রশাসনিক সূত্রে যদিও কোনও সরকারি স্বীকৃতি এখনও মেলেনি, কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভয়ের জেরেই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয়দের।