বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে লালখাদানের কাছে একটি যাত্রিবাহী ট্রেন এবং মালগাড়ির সংঘর্ষে কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন লোকো-পাইলটও। বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। বহু যাত্রী এখনও কামরার ভিতরে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুরু হয়েছে ব্যাপক উদ্ধারকাজ।
বিলাসপুরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মালগাড়িটি লাইনের উপর দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় একই লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়ে এবং সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের অভিঘাতে যাত্রীবাহী ট্রেনের একাংশ মালগাড়ির উপর উঠে যায়। দুমড়েমুচড়ে যায় প্রথম কামরাগুলি। ভেঙে যায় জানালা ও দরজা। মুহূর্তে আতঙ্কে চিৎকারে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। দুর্ঘটনার (Train Accident) তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কিছু যাত্রী ট্রেনের ভিতরেই আটকে পড়েন।
আরও পড়ুন:২০২৫ থেকে বদল ক্রেডিট কার্ড নিয়ম, লেট ফি-র অত্যাচারে ব্রেক আরবিআইয়ের
বিলাসপুরের পুলিশ সুপার রজনীশ সিংহ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় (Train Accident) ন’জনের মৃত্যু নিশ্চিত। দুই যাত্রীর দেহ এখনও ট্রেনের ভিতরে আটকে রয়েছে, তা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ও আহতদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
রেলের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রাত পর্যন্ত কাটার, গ্যাসকাটার এবং বিশেষ উদ্ধার সরঞ্জাম ব্যবহার করে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করার চেষ্টা চলবে। দুর্ঘটনার (Train Accident) কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সিগন্যাল বা ট্র্যাক সংক্রান্ত ত্রুটির জেরে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কী ভাবে যাত্রিবাহী ট্রেনটি একই লাইনে ঢুকে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:পশ্চিমে ‘ত্রিশূল’ পূর্বে ‘প্রচণ্ড প্রহার’, দুই সীমান্তে একযোগে শক্তি প্রদর্শনে চাপে চিন–পাক
দুর্ঘটনার (Train Accident) পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল ও অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মীদেরও।
এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিলাসপুর সহ গোটা অঞ্চলে। রেল নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তে পরিষ্কার হবে, কী ভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)।













