বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্লক লেভেল অফিসার বা BLO-দের কাজ একেবারেই ‘ফুলটাইম জব’। ফের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলাম নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগেই এই বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তৈরি হয়েছিল নানা ধন্দ। এসআইআর-এর (SIR) কাজ সামলে BLO-দের মূল কর্মস্থলে ফেরার প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। মঙ্গলবার কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সেই ধোঁয়াশা কেটে গেল।
BLO-দের একটাই কাজ এখন, SIR, স্পষ্ট বার্তা কমিশনের
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে BLO-দের সম্পূর্ণ সময় দেবে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন (SIR) প্রক্রিয়ার কাজে। অর্থাৎ তাঁরা অন্য কোনও দায়িত্ব পালন করবেন না। জেলা প্রশাসনের মারফত কমিশনের নির্দেশিকা BLO-দের কাছে পাঠানো হচ্ছে। ফলে আপাতত স্কুলে যেতে হবে না বলেই মনে করছেন শিক্ষক BLO-রা।
যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে নতুন সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। কারণ এসআইআর-এর (SIR) কাজে শিক্ষক BLO–রা স্কুলে যেতে না পারায় রাজ্যের প্রায় চার হাজারেরও বেশি স্কুল শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। বিহারে মুখ্যসচিব BLO–দের এই বিষয়ে ছাড় দিয়েছিলেন, কিন্তু বাংলায় এখনও সেই বিষয়ে মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি আসেনি।
এদিকে রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী স্পষ্ট করেছেন, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত BLO-দের একমাত্র দায়িত্ব থাকবে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। এই নির্দেশ সমস্ত জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও ERO-দের কাছে পৌঁছে গেছে। BLO-রা এই সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই, নতুন নাম সংযোজন এবং সংশোধনের কাজ করবেন।
প্রথম দিনেই বিভ্রান্তি, ফর্ম ও আই কার্ড নিয়ে অভিযোগের ঝড়
মঙ্গলবার ছিল এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার শুরুর দিন। সেই দিনেই BLO-দের মধ্যে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। অনেকেই বুথভিত্তিক Enumeration Form হাতে পাননি। কোথাও ভোটার পিছু দুটি ফর্মের বদলে একটি করে ফর্ম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি অনেকে আই কার্ডও পাননি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন BLO-রা। এর মধ্যেই কমিশনের এই নতুন নির্দেশ BLO-দের কাজের দিক আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে হার, অবশেষে বাংলার ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা মেটাতে চলেছে কেন্দ্র!
নির্বাচন কমিশনের এই স্পষ্ট নির্দেশে একদিকে BLO-দের বিভ্রান্তি কেটেছে, অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের মাথাব্যথা বেড়েছে। কারণ স্কুল শিক্ষক BLO-রা এখন শুধুমাত্র কমিশনের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। রাজ্যজুড়ে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালাতে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেক আধিকারিকই।













