পিছিয়ে রয়েছে চিনও! বিশ্বে “ম্যানুফ্যাকচারিং লিডার” হয়ে উঠল ভারত, এল চমকে দেওয়া পরিসংখ্যান

Published on:

Published on:

India has become the

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত অক্টোবরে বিশ্বে ম্যানুফ্যাকচারিং তথা উৎপাদন সংক্রান্ত কার্যক্রম আবারও গতি পেয়েছে। যেখানে এশিয়ার দেশগুলি, বিশেষ করে ভারত (India) থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। এসএন্ডপি গ্লোবালের তথ্য অনুসারে, চিন ও জাপান বাদে এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং PMI (পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স) ১৪ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করে যে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উত্তেজনা এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও, এশিয়ায় পুনরুদ্ধারের গতি জোরদার হচ্ছে।

“ম্যানুফ্যাকচারিং লিডার” হয়ে উঠেছে ভারত (India):

ইতিমধ্যেই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে এসএন্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের চিফ বিজনেস ইকোনমিক ক্রিস উইলিয়ামসন জানিয়েছেন যে, বিশ্বব্যাপী ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রোথে ভারত (India) সবথেকে আগে রয়েছে। তবে থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামও অক্টোবরে ভালো পারফর্ম করেছে। মার্কিন শুল্ক নীতি সম্পর্কে উদ্বেগ কমানোর ফলে সেখানকার উৎপাদকদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, থাইল্যান্ডের PMI ২০২৩ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। যেখানে ভিয়েতনামের PMI ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর একজন সর্বোচ্চ হয়েছে।

India has become the

ভারত আবারও বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে: সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারত (India) আবারও ম্যানুফ্যাকচারিং র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে পৌঁছেছে। এইচএসবিসি ম্যানুফ্যাকচারিং PMI গত সেপ্টেম্বরে ৫৭.৭ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৫৯.২ হয়েছে। উৎসবের মরশুমের চাহিদা এবং সরকারের GST হার সংশোধনের কারণে এটি ঘটেছে। গত ৭ মাসে পঞ্চমবারের মতো ভারতের PMI ৫৮-এর ওপরে উঠেছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর শক্তিশালী রয়েছে। ৫০-এর উপরে PMI বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে। এইচএসবিসির চিফ ইন্ডিয়া ইকোনমিস্ট প্রাঞ্জল ভান্ডারী জানিয়েছেন যে, GST সংস্কার এবং ভালো চাহিদার বিষয়ে প্রত্যাশা প্রবল হওয়ায়, সামনের দিকেও ব্যবসায়িক মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও গতি বৃদ্ধি পেয়েছে: এদিকে, এশিয়ার বাকি অংশেও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন দেখা গেছে। থাইল্যান্ডের PMI টানা ষষ্ঠ মাসের জন্য ৫৪.৬ থেকে ৫৬.৬-এ উন্নীত হয়েছে। যা ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় উন্নতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এসএন্ডপি গ্লোবাল জানিয়েছে, ভিয়েতনামের PMI গত সেপ্টেম্বরে ৫০.৪ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৫৪.৫-এ পৌঁছেছে। যা ১৫ মাসের মধ্যে রেকর্ড। নতুন অর্ডার বৃদ্ধি এবং রফতানি চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই এমনটা ঘটেছে। বিগত ১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সেখানে নতুন এক্সপোর্ট অর্ডার্স সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটি সামগ্রিক ব্যবসায়িক বৃদ্ধিকে সমর্থন করেছে। সামগ্রিকভাবে, ASEAN দেশগুলির জন্য সম্মিলিত ম্যানুফ্যাকচারিং PMI ৫২.৭-এ পৌঁছেছে। যা ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বড় সুযোগ পেলেন রাহুল দ্রাবিড়ের কনিষ্ঠ পুত্র অন্বয়! ভারতের এই দলে হলেন সামিল

চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া পিছিয়ে পড়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এশিয়ার কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে সামগ্রিক পরিস্থিতি অন্যরকম। এক্সপোর্ট অর্ডার হ্রাসের কারণে চিনের PMI গত সেপ্টেম্বরে ৫১.২ থেকে অক্টোবরে ৫০.৬-এ নেমে এসেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং মার্কিন শুল্কের প্রভাবের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানার কার্যকলাপও দুর্বল ছিল। এদিকে, দুর্বল বহিরাগত চাহিদা এবং সাপ্লাই চেনের সমস্যার কারণে জাপানের PMI-ও সামান্য হ্রাস পেয়েছে।

আরও পড়ুন: তিনি কিংবদন্তি! কোহলির জন্মদিনে রইল ২২ টি “বিরাট” রেকর্ডের তালিকা

বাণিজ্য ধীরগতির, কিন্তু আশা রয়েছে: জানিয়ে রাখি যে, ভারতের (India) শক্তিশালী পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, অক্টোবরে এক্সপোর্ট অর্ডার কিছুটা কমেছে। থাইল্যান্ড থেকে শুরু করে চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। শুধুমাত্র ভিয়েতনামে নতুন এক্সপোর্ট অর্ডার বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে, বিশ্বব্যাপী এক্সপোর্ট চাহিদা দুর্বল রয়েছে। এদিকে, আমেরিকা এবং ইউরোপেও নতুন এক্সপোর্ট অর্ডার এবং ব্যবসায়িক আস্থাও হ্রাস পেয়েছে। তবে, ASEAN দেশগুলির মনোভাব ইতিবাচক। এসএন্ডপি গ্লোবালের অর্থনীতিবিদ মরিয়ম বালুচ বলেন, যদি নতুন অর্ডার এই হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং দাম স্থিতিশীল থাকে, তাহলে ASEAN দেশগুলিতে উৎপাদন তথা ম্যানুফ্যাকচারিং চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তার শক্তিশালী গতি বজায় রাখতে পারে।