বাংলা হান্ট ডেস্ক: উৎসবের মরশুম শেষ হয়েছে। তবে এখনো তার রেশ কাটেনি অনেকেরই। মন চাইছে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু সেই সুযোগ নেই কারোর। তবে একদিনে সফরে যদি যেতে চান যেতে পারেন মাতলা নদীর ধারে। সেখানে পড়ন্ত বিকেলে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন আপনি। আর এই জায়গাটি হল সুন্দরবনের (Sundarban) কৈখালিতে।
৩ ঘণ্টায় পৌঁছে যান মাতলার তীরে, মন ভরবে শান্তিতে (Sundarban)
মাতলা ও নিমানিয়ার সঙ্গমস্থল হল কৈখালি। এখানে গেলে পরে আপনি প্রাণভরে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি রয়েছে এখানে শান্ত বিস্তৃত জলরাশি। পাশাপাশি রয়েছে এখানে বাদাবন। ইট দিয়ে বাধানো নদীর বাঁধ। আর সেই রাস্তার ধারে বসে উপভোগ করতে পারবেন আপনি এর সৌন্দর্য। এছাড়াও উপড়ি পাওনা হিসেবে রয়েছে সুন্দরবনের (Sundarban) ম্যানগ্রোভ।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীবারে বড় চমক! সোনার দামে আরও বদল, জানুন ২২ ও ২৪ ক্যারেট হলুদ ধাতুর দর
মাতলা ও বাদাবন ছাড়াও কৈখালী যাওয়ার আরো দুটি কারণ রয়েছে। এইখানে রয়েছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম। যেখানকার স্নিগ্ধ পরিবেশে আপনার মন শান্ত হবে। চাইলে আপনি এখানে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। পাশাপাশি এখানে মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন আপনি। কারণ এই রামকৃষ্ণ মিশনে কৈখালীতে আসা পর্যটকদের জন্য আবাসনও রয়েছে। যেখানে চাইলে আপনি রাত কাটাতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
ইচ্ছে হলে এখানে মতলার তীরে একটি রাত কাটাতে পারেন। পাশাপাশি কৈখালীতে পর্যটকদের আবাসন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রামকৃষ্ণ আশ্রমে থাকার জায়গা। তবে এখানে থাকার জন্য আগের থেকে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।
কীভাবে যাবেন?
লং ড্রাইভে যেতে পারেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবনের (Sundarban)কৈখালিতে। কলকাতা থেকে বারুইপুর হয়ে জয়নগর, মজিলপুর নিমপীঠ হয়ে পৌঁছে যেতে পারেন কৈখালি। সময় লাগবে এখানে যেতে মাত্র তিন ঘন্টা। এছাড়াও শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকালে চেপে জয়নগর মজিলপুর স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে অটো ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন এখানে।













