রোজকার কিছু অভ্যাসই গ্যাস-অম্বলের মূল কারণ, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলুন এখনই

Published on:

Published on:

Health some daily habits are increasing gas and heartburn be careful now

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান দিনে হজমের সমস্যা প্রতিটি ঘরে। তাছাড়া খাদ্য রসিক মানুষদের কাছে মশলাদার খাবারের প্রতি আকর্ষণ বরাবরই বেশি থাকে। যার ফলে প্রতিদিনের মেনুতে দু একটা এমন মসলাদার পথ থাকে। যা খাওয়ার পর গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় (Health)। আর চিকিৎসকদের মতে গ্যাস অম্বল হওয়ার ফলে তারা ঘন ঘন দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসা ওষুধ খাচ্ছেন। যা শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক। তবে গ্যাস অম্বল অথবা পেটের গন্ডগোল চিরতরে রেহাই পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলোই আজকের প্রতিবেদনে বলা হল।

রোজকার কিছু অভ্যাসেই বাড়ছে গ্যাস-অম্বল, সতর্ক থাকুন এখনই (Health)

গ্যাস অম্বল শুধুমাত্র যে বাইরের খাবারদাবার কারণে হয়, তা কিন্তু নয়। আর এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, প্রতিদিনের জীবনের এমন কিছু অভ্যাস আছে যার ফলে ঘন ঘন গ্যাস অম্বলের মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে মানুষের জীবনে। তবে সুস্থ থাকতে হলে সব সময় যে করার ডায়েট এর প্রয়োজন তাও কিন্তু নয় (Health)। চিকিৎসকদের মতে কিছু অভ্যাস যদি বন্ধ করা যায় তাহলে পরে এই গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

Health some daily habits are increasing gas and heartburn be careful now

আরও পড়ুন: উৎসবের পর মন খারাপ? মাতলার তীরে কাটান নিরিবিলি দিন, পৌঁছতে লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা

১) ফাইবার কম খাওয়া: হয়তো আপনি ভাবছেন কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ও বেশি প্রোটিন খেলে পরে আপনার ওজন কমবে ও আপনি ফিট থাকবেন। তবে সেটি কিন্তু একেবারেই নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবার কম খেলে ওজন বাড়ে। পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এর ফলে শরীরে নানা রকম রোগের উৎপত্তি ঘটে।

২) খাওয়ার পরেই ঘুম: সেটি দুপুরই হোক অথবা রাত খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়লে বদহজম হবেই। কারণ খাওয়া ও ঘুমের মধ্যে অন্তত তিন ঘন্টার ব্যবধান থাকা উচিত। খেয়েদেয়ে উঠে শুয়ে পড়লে বদহজম, বুক জ্বালা, অম্বল, ওজন বৃদ্ধি এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

৩) সকালবেলা খাবার না খাওয়া: ব্যস্ততার কারণে সকালবেলা অনেককে খাবার খান না। আবার অনেকে সাধারণত দুধ ফল ও দানাশস্য জাতীয় খাবার খেয়ে নেন। তবে এগুলো বাদ দিলে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার ও অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গুলো পুষ্টি থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই যারা প্রাতরাশ করেন না তাদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে (Health)।