উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে দেশি কাঞ্জিতে, জানুন কীভাবে বানাবেন এই পানীয়

Published on:

Published on:

Skin Care kamal will show local kanji not foreign drinks for glowing skin

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে শীত আসছে। বর্তমানে বাতাস এই হিমের পরশ। ইতিমধ্যেই গাল, হাতের চামড়ায় টান ধরতে শুরু করেছে। অনেকে আবার এখন থেকে অলিভ অয়েল মাখা শুরু করে দিয়েছেন (Skin Care)। তবে শুধুমাত্র ত্বকের যে সমস্যার সমাধান হচ্ছে তা কিন্তু নয়। ক্রিম অথবা তেল যতই মাখন না কেন রাস্তায় বেরোলে ত্বকের টান ধরবেই। তাই এই মরশুমের বদলের ফলে ত্বকের এরকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য অনেকে আবার সালোঁয় গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে ফেসিয়াল করাচ্ছেন। আদতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। তাই এই বিষয়ে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি ত্বককে নরম ও টানটান রাখতে চান তাহলে কাঞ্জি খাওয়া খুবই উপকারী।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিদেশি পানীয় নয়, দেশি কাঞ্জি দেখাবে কামাল (Skin Care)

কাঞ্জি মূলত দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের একটি জনপ্রিয় পানীয়। যেহেতু গেঁজিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়টি তাই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক রয়েছে। এছাড়াও শরীরে যেমন খারাপ ব্যাকটেরিয়া আছে তেমন কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াও থাকে। প্রোবায়োটিক হল এমন জৈব পদার্থ যা শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়া খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে। ও শরীরকে ডিটক্স করে। তাই এই পানীয়টি খেলে পরে শরীরের পাশাপাশি আপনার ত্বক ভালো থাকবে (Skin Care)।

Skincare kamal will show local kanji not foreign drinks for glowing skin

আরও পড়ুন: একবার খেলে ভুলবেন না! সর্ষে আর নারকেলে বানান ভাপা ইলিশের এই অনন্য পদ, রেসিপি রইল

কীভাবে বানাবেন কাঞ্জি?

উপকরণ:

৪-৫টি মাঝারি মাপের গাজর

১টি বিট

দেড় লিটার জল

১ চামচ সর্ষে

আধ চামচ লঙ্কাগুঁড়ো

আধ চামচ হলুদগুঁড়ো

প্রণালী: প্রথমে গাজর এবং বিট ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে তিন গাঁট মাপের টুকরো করে কেটে নিন। তবে বিট অপছন্দের হলে না-ও দিতে পারেন। এরপর জল ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার একটি পরিষ্কার এবং চওড়া মুখের কাচের জারে গাজর, বিট, সর্ষের গুঁড়ো, বিটনুন গোলমরিচ দিন। তারপর একটি পরিষ্কার শুকনো চামচ দিয়ে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন ভালো করে। তার পরে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে রাখা জল জারের মধ্যে ঢেলে উপরে একটি মসলিন কাপড় বেঁধে দিন। এরপর তিন চার দিন ওটিকে রোদের মধ্যে আলগা করে রেখে দিন। চাইলে প্রতিদিন একবার করে অন্তত যারের মুখটা খুলে দিতে পারেন। এরপর আবার ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবেন। ৩-৪ দিন পর চামচ দিয়ে পানি উঠে একটু ঘেঁটে দেখবেন। যদি সাত টক হয়ে আসেন তাহলে বুঝবেন কাঞ্জি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরপর প্রতিদিন সকালবেলা এই পানিওটি আপনি পান করতে পারেন। চাইলে এই পানীয়টি আপনি ফ্রিজেও রাখতে পারেন (Skin Care)।