চা-কফি কি সত্যিই লিভারের জন্য উপকারী? জানুন চিকিৎসকদের মতামত

Published on:

Published on:

Health how effective are tea and coffee for fatty liver

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকালকার দিনে তিনটে ঘরের মধ্যে একটি ঘরে একজন করে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। ভারতে এই রোগের জনসংখ্যা প্রায় ৩৩-৩৮%। আর যত দিন এগোচ্ছে এর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তবে এই সমস্যা দেখা দিলে সবার আগে চিকিৎসকেরা বাইরের খাবার দাবার, মদ্যপান করা বন্ধ করতে বলে। এছাড়াও সামান্য কিছু ওষুধ দেয় এই ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য (Health)। তবে এই ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের আরো তিনটি পানীয় ডায়েটে রাখতে বলেন। যা পান করলে আপনি দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে। কোনগুলো এই তিনটি প্রাণী ও তার নিচে বিস্তারিতভাবে জানানো হল।

চা-কফি ফ্যাটি লিভারের জন্য কতটা কার্যকর? (Health)

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে পরে নানান ধরনের খাবার দাবারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা হয় মদ, বাইরে তেলে ভাজার ওপরে। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় আনতে হয় বদল। কারণ লিভারের মেদ যত জমবে তত পরিমাণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে থাকবে। এছাড়াও ফ্যাটি লিভার হলে পরে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন শরীর চর্চার (Health)। এর পাশাপাশি প্রয়োজন  তিনটি পানীয় রাখা। যেগুলো পান করলে আপনি দ্রুত ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Health how effective are tea and coffee for fatty liver

আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে দেশি কাঞ্জিতে, জানুন কীভাবে বানাবেন এই পানীয়

গ্ৰিন টি: চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলে পান করুন গ্রিন টি। কারণ গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও আপনি এই পানিওটি লেবুর রস দিয়েও পান করতে পারেন। এটি লিভারের চর্বি গলাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লিভারে জমে থাকার টক্সিন বের করে দেয়। আর এই পানিওটি আপনি সারাদিনে দু থেকে তিন কাপ খেলে পরে উপকার পাবেন।

বিটের রস: চা কফি খাওয়ার অভ্যাস যদি আপনার না থেকে থাকে। তাহলে পান করতে পারেন বিটের রস। বিটের রস শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি লিভারের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ বিটের মধ্যে রয়েছে বিটালিন। যা এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি লিভারের কোষ কে সুরক্ষিত রাখে ও ফ্যাটকে গলাতে সাহায্য করে।

কফি: কফি খেয়েও আপনি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে পারেন। কফির মধ্যে রয়েছে ফাইব্রোসিস। এটি সেটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মাত্রায় কফি খাবেন না। দিনে দু থেকে চার কাপ কফি খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে দুধ অথবা চিনি ছাড়া কফি খেতে হবে (Health)।