বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন ভোজবাজি! কিছুদিন আগেও যেখানে মানুষ গিজগিজ করত, সেখানে এখন রীতিমতো ফাঁকা নিউটাউন বস্তি এলাকা। এসআইআর (SIR) ঘোষণা হতেই যেন হিড়িক লেগেছে ঘরছাড়ার। রাতারাতি কার্যত ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। নিউটাউনের ৬ নম্বর গেট সংলগ্ন বস্তি এলাকায় এখন ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ছে পরপর তালাবন্দি ঘর।
এসআইআর (SIR) ঘোষণা হতেই ফাঁকা নিউটাউন বস্তি
প্রায় হাজারের উপর ঝুপড়ি ঘর রয়েছে নিউটাউনের এই বস্তিতে। এর মধ্যে যেমন ভিন রাজ্য থেকে কাজের সন্ধানে আসা মানুষ রয়েছে, তেমনই রয়েছে বেশ কিছু বাংলাদেশিও। কিন্তু এসআইআর (SIR) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু ঘর দেখা যাচ্ছে তালাবন্দি অবস্থায়। কারা থাকতেন সেখানে? সকলেই কি বাংলাদেশি? নিউটাউনের বিভিন্ন প্রান্তের চিত্র দেখে অনেকের অনুমান, অনেক বাংলাদেশিরই বসবাস রয়েছে এখানে, যাদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যেই ঘর ছেড়েছেন, আবার অনেকে এখনও ছাড়তে পারেননি।

কারা থাকতেন ঘরগুলিতে: সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখলেও পিঠটান দিতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। সবটাই কি এসআইআর আতঙ্কে? জানা যাচ্ছে, রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছেন অনেকে। বাকি বাসিন্দারা জানান, বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি এখানে ভোটার কার্ড বানিয়ে ভোটও দিচ্ছেন। এখন এসআইআর (SIR) শুরু হতেই তাঁরা পালিয়েছেন বলে বক্তব্য বাকি বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন : তিন বছর পেরিয়েও TRP টপার, হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে ‘জগদ্ধাত্রী’ বন্ধ করছে জি বাংলা?
কী বলছে বিরোধীরা: ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা শুরু হলে অনুযায়ী অবৈধ ভোটার, অনুপ্রবেশকারীদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে বলে জানিয়েছে বিরোধী দল। গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর (SIR)। আর তারপর পরই এই চিত্র। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তরজা।
আরও পড়ুন : ‘এমন মুখ্যমন্ত্রী দেখিনি’, KIFF-এর মঞ্চে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পেয়ে কী বললেন আরতি মুখোপাধ্যায়?
তৃণমূল নেতা মহম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, দশটি পরিবার কোথায় চলে গিয়েছে তিনি জানেন না। ৩০ বছর ধরে বসবাস করা মানুষও আতঙ্কে চলে যাচ্ছে। এদিকে বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, এসআইআর হওয়ায় রাজ্যবাসী খুশিই।













