বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছর দেবীপক্ষের সময় প্রবল বর্ষণে জলে ডুবে গিয়েছিল কলকাতা শহরতলী। যার ফলে কলকাতা শহরের একাধিক রাস্তায় ছিল জলের নিচে। আর সেখানে জল নামতে সময় গিয়েছিল ঘন্টার পর ঘন্টা। অথচ যেসব অঞ্চলে নালা, ড্রেন সম্প্রতি পলি মুক্ত করা হয়েছে সেই সব জায়গাতেও জল জমতে দেখা যায়। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পৌরসভা (KMC)। তাই বর্ষার আগে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার জন্য এবার একসঙ্গে কাজে নামতে চলেছে পুরসভা ও সেচ দফতর।
এবারের পুজোয় কলকাতায় ভারী বৃষ্টি জলমগ্ন রাস্তায় নামছে পুরসভা ও সেচ দফতর (KMC)
মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংহের নেতৃত্বে কলকাতা পুরসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার বিভিন্ন আধিকারিক ও সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা (KMC)। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, খান ও নিকাশি নালার পরিস্থিতি খাতিয়ে দেখতে যৌথভাবে পরিদর্শনে নামবে এই দুই সংস্থা। পাশাপাশি সেচ দফতরকে বেশ কিছু নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা (KMC)।

আরও পড়ুন: পনিরের নামে বিষ! নিরামিষ দিনেও বিপদে পড়তে পারেন আপনি, জেনে নিন ভেজাল চেনার ঘরোয়া পদ্ধতি
যদিও এর আগে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের তলায় থাকা ভূগর্ভস্থ নিকাশী নালা কয়েক মাস আগেই পৌরসভার তরফ থেকে সম্পূর্ণ পলিমুক্ত করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি যাদবপুর থানার সামনে থেকে নবীনা সিনেমা হল পর্যন্ত ব্রেন পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে আবার সেখানে জল জমতে থাকে।
দেখা গিয়েছে সংলগ্ন বিবি ওয়ান ক্যানসেল ও চৌবাগান পাম্পিং স্টেশনের মধ্যে থাকা খালগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে রয়েছে। যার ফলে গাঙ্গুলি পুকুর থেকে চৌবাগান পর্যন্ত খানের গভীরতা দুই থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত কমে গিয়েছে। এতে খালের জলস্তর প্রায় নিকাশি নালার সামনে হয়ে পড়েছে। যার ফলে বৃষ্টির সময় অতিরিক্ত জল বেরোতে পারছে না।
এবং এই বিষয়ে পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, খালি পলি জমে যাওয়ার ফলে জল ধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই বিষয়ে সেজ দফতরকে জানানো হয়েছে। খাল আরও গভীর করে কাটা দরকার। আরও জানান, পুরসভা বিবি ওয়ান ক্যানসেলের পাশে একটি লিফটিং ষ্টেশন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাম্পিং স্টেশনের মতনই কাজ করবে। তবে শুধুমাত্র তাতেই হবে না। পাশাপাশি গোটা খাল পরিষ্কার না হলে জল নামবে না। তাই সবার আগে এই জল নিকাশের সমস্যা দূর করার জন্য একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা ও সেচ দফতর (KMC)।













