বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর ঘটে যাওয়া আরজি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ড কার্যত তোলপাড় করে দিয়েছিল রাজ্যকে। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে একাধিক প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপর তদন্তে ঘটনায় একমাত্র দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায় কে। কিন্তু সেই রায়ে খুশি নয় নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের দাবি এই ঘটনায় আরও অনেক বড় বড় মাথা জড়িত। তাই এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার বাবা-মা।
আরজি কর মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
যতদিন যাচ্ছে এই মামলা যেন আরও জটিল আকার ধারণ করছে। সম্প্রতি আবারও কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলা আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলা ফের নতুন মোড় নিল। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রসঙ্গত, এর আগে একই মামলার দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এর ফলে ফের অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে মামলার শুনানি ঘিরে। এখন এই মামলার ভবিষ্যৎ শুনানি কোন এজলাসে হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে সূত্রের খবর এটি নির্ধারণ করবেন প্রধান বিচারপতি।
পুনর্তদন্তের দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে, আরজি করের ধর্ষণ ও খুন মামলায় নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে জানান। তাঁদের বক্তব্য, সিবিআই তদন্তের গতি ধীর এবং অসম্পূর্ণ, ফলে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক আদালতের তরফে। এছাড়াও, মামলার আবেদনে তাঁরা অনুরোধ করেন, নতুন করে নিযুক্ত তদন্তকারীরা যেন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হোক আদালতের (Calcutta High Court) পক্ষ থেকে।
নির্যাতিতার পরিবারের এই আবেদনের শুনানি প্রথমে হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে। এর আগে তাঁরা নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হলেও আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) আসতেই মামলার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর মামলাটি চলে আসে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনিও মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে, তাঁর এই পদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে আদালতে কিছু জানাননি তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ১৬৪ দিনের বিচার শেষে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু এই রায় যথেষ্ট নয় বলেই দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, “সঞ্জয় রায় একা নন, এই নৃশংস ঘটনার পিছনে আরও অনেকের হাত রয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ SIR ফর্ম হাতে পেয়েছেন? ভুল করলে বা জমা না দিলে কী হতে পারে জানুন বিস্তারিত
দুই বিচারপতির সরে দাঁড়ানোয় মামলার ভবিষ্যৎ শুনানি নিয়ে এখন আদালতপাড়ায় (Calcutta High Court) জোর আলোচনা। প্রধান বিচারপতি শীঘ্রই ঠিক করবেন, কোন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলবে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সত্যিটা প্রকাশ পাক।













