বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যে শুরু ইডি (Enforcement Directorate) অভিযান। সেপ্টেম্বরে অভিযানের পর, তারপর ২ মাসের ব্যবধানে ফের অভিযান চালাল ইডি। এই অভিযানে অবশেষে রাজ্যের বালি পাচার মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার হলেন জিডি মাইনিং সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর অরুণ সরাফ। রাতেই তাঁকে তোলা হয় মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে।
সেপ্টেম্বরের অভিযানের পর ফের হানা ইডির (Enforcement Directorate)
গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যের চার জেলায়, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দিনভর তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেই সময় হানা দেওয়া হয় সল্টলেকে অবস্থিত জিডি মাইনিংয়ের অফিসেও। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। তখনই তদন্তকারীদের হাতে আসে অরুণ সরাফের নাম।
এর প্রায় এক মাস পরে ফের সক্রিয় হয় ইডি (Enforcement Directorate)। বৃহস্পতিবার সকালে ফের অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছান তদন্তকারীরা। শুরু হয় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদে সরাফের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাঁকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উদ্ধার নগদ ২৯ লক্ষ, ইডির দাবি ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতি
ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে খবর, অরুণ সরাফের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৯ লক্ষ টাকা। তদন্তকারীদের দাবি, ৭৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত। যদিও অরুনের আইনজীবীর দাবি, গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি। ২০১৪ সালে জিডি মাইনিংয়ের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অরুণ সরাফ। তবে এরপরও তিনি একাধিক সংস্থার নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সময়কালেই তৈরি হয়েছে আর্থিক অনিয়মের একাধিক চক্র।

আরও পড়ুনঃ তীর্থঙ্কর ঘোষের পর আরজি কর মামলার শুনানি থেকে ফের সরে গেলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক, কেন?
বৃহস্পতিবার রাতেই অরুণ সরাফকে তোলা হয় মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে। আদালত আপাতত একদিনের ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার তাঁকে পেশ করা হবে ইডির বিশেষ আদালতে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বালি পাচার চক্রের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য উদ্ধার করা হবে।












