বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুয়ারে লোকসভা (Loksabha Vote) ভোট। বেশ কিছুদিন আগেই বাংলার ৪২ আসনের জন্যই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের কেন্দ্রে জোর কদমে প্রচারও চালাচ্ছেন সকল প্রার্থী। ওদিকে ৪২ আসনের মধ্যে এখনও রাজ্যের চার কেন্দ্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কিছু আটকে রয়েছে প্রশাসনিক জটে। আর কিছুর কারণ জানা নেই।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) গড় ডায়মন্ড হারবারেও এখনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। বিজেপির পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ কোনো দলই এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন ‘অভিমানী’ রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল। যদিও বিজেপি এখনও এই পর্যন্ত এই নিয়ে অফিসিয়ালি কিছুই জানায়নি।
গোটা রাজ্যের মধ্যে তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটির মধ্যে একটি ডায়মন্ড হারবার। ২০১৪ সাল থেকে এই কেন্দ্র অভিষেকের দখলে। পরপর দুবারের সাংসদ তিনি। এবার হ্যাট্রিকের অপেক্ষায়। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তারকা রুদ্রনীল ঘোষ। এর আগে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন রূদ্রনীল। তবে সেই পরাজয়ে দলের সঙ্গ ছাড়েননি রূদ্রবাবু। বঙ্গবিজেপির অন্যতম চর্চিত নাম তিনি। নিজের কবিতা, লেখা-লেখির মাধ্যমে শাসকদলকে বিঁধতে ওস্তাদ তিনি।
এর আগে শোনা যাচ্ছিল, ‘ববি দা হতে পারেন অভিষেকের বিরুদ্ধে বিজেপির চমক। বিজেপি নেতা তথা বরানগর উপ নির্বাচনের প্রার্থীসজল ঘোষ সম্প্রতি বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবার থেকে আমিও লড়তে চেয়েছিলাম। মনটা খারাপ যে ওখানে দেয়নি। পাশাপাশি ওখানে রুদ্র দা, শঙ্কু লড়তে চায়, ববি দা-ও লড়তে চাইছে, ওই কেন্দ্র থেকে নামতে চাইছেন কৌস্তভ বাগচীও।”
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে ছেঁড়া হল দেবাংশুর…! নেপথ্যে কে? ভোটের মুখে তোলপাড় নন্দীগ্রাম
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ববি দা বলে এক বিজেপি নেতা আছেন। সকলে তাকে এই নামেই চেনেন। তার আসল নাম অভিজিত্ দাস। অভিজিত্বাবু একসময় বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন। এলাকার দাপুটে এই নেতাকেই এক নামেই সকলে চেনেন। তাকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিজেপি। তবে এবার শোনা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারে রুদ্রনীল ঘোষকে প্রার্থী করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
প্রঙ্গত, দোলের দিন আচমকাই দলের একাধিক হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন রুদ্রনীল ঘোষ। জানা যায় সংখ্যাটা প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি। টিকিট না পেয়ে অভিমানে দল ছাড়ছেন রূদ্রনীল, সেই জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। যদিও রূদ্রনীল জানিয়েছিলেন, ‘দলের ১০-১১টি জরুরি হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে আমি রয়েছি। আগে প্রচুর গ্রুপের অংশ ছিলাম। যে যেমন পারছিলেন আমায় অ্যাড করে দিচ্ছিলেন। এত এত ভিডিও দেখে আর পারছিলাম না। আমার ফোনটাও ভরে যাচ্ছিল। দোলের দিন একটু ফাঁকা সময় পাওয়ায় ওই গ্রুপগুলো থেকে সরে গেলাম। প্রায় ৭৭টা গ্রুপের অংশ ছিলাম আমি’।
পাশাপাশি অভিমানের সুরে তিনি এও বলেছিলেন, ‘দলের জন্য, দলের নির্দেশ অনুসারে আমি রোজ কাজ করেছি। কঠিন আসন ভবানীপুর থেকে লড়েছি। একটা আশা তো ছিলই, যারা লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পেয়েছেন তাদের মধ্যে আমার নামও থাকবে। কেন এমন আশা থাকবে না বলুন তো? তবে দলের যেটা ঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছে। আমায় হয়তো অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে। দলের জন্য আমি প্রচুর কাজ করেছি। আমার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাই বলে এক্ষুনি দল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কখনও নতুন কিছু ভেবে দেখব কিনা সেটা পরে জানাব। আমি বিজেপিতেই আছি’।