বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এদিকে, দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সরকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তথা RBI দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সংস্কারও শুরু করেছে। যা ওই সেক্টরকে আরও চাঙ্গা করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ভারতের ব্যাঙ্কিং সেক্টর বিশ্বব্যাপী দাপট দেখাতে পারে। কারণ দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক SBI (State Bank of India) ইতিমধ্যেই ১০০ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসার সীমা অতিক্রম করার একদিন পর, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি মূল্যবান ব্যাঙ্কের মধ্যে স্থান পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
কী পরিকল্পনা SBI (State Bank of India)-র?
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে SBI (State Bank of India) চেয়ারম্যান সিএস শেট্টি জানিয়েছেন, মার্কেট ক্যাপের দিক থেকে বৃহত্তম সরকারি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত এই ব্যাঙ্কটির লক্ষ্য তার মূল্য আরও বৃদ্ধি করা। যদিও HDFC ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই শীর্ষ ১০ লিডারবোর্ডে স্থান করে নিয়েছে, ভবিষ্যতে ICICI ব্যাঙ্ক এবং SBI-ও স্থান পেতে পারে। SBI চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, ব্যাঙ্কটির লক্ষ্য হলো মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (CAR) ১৫ শতাংশ এবং মূল ইকুইটি অনুপাত (CET-1) ১২ শতাংশ বজায় রাখা। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ব্যাঙ্কের CAR ছিল ১৪.৬২ শতাংশ এবং CET-1 ছিল ১১.৪৭ শতাংশ। যা তার লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি।

তিনি বলেন, “যদিও, গত কয়েক বছরে আমরা ভালো মুনাফা অর্জন করেছি, তবুও আমাদের মূলধন অনুপাত অনেক ব্যাঙ্কের তুলনায় কম। আমাদের লক্ষ্য ১৫ শতাংশ CAR এবং ১২ শতাংশ CET-১ অর্জন করা। এটি আমাদের ভবিষ্যতের চাহিদা এবং একটি শক্তিশালী ক্যাপিটাল লেভেলের সমন্বয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই এটাই ছিল। ক্যাপিটাল তথা পুঁজি কখনই আমাদের বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। গত ৪ থেকে ৫ বছরে, মুনাফা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মূলধনও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমাদের কাছে সর্বদা ৬ থেকে ৭ ট্রিলিয়ন টাকার গ্রোথ সাপোর্টিং ক্যাপিটাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক ব্যবস্থা শক্তিশালী! স্বীকার করে নিল বিশ্ব ব্যাঙ্কও
ক্যাপিটাল অনুপাত: SBI চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাপিটাল অনুপাত বৃদ্ধির উদ্দেশ্য হল ব্যাঙ্কের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাফার নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য যে, SBI ইতিমধ্যেই ১০০ লক্ষ কোটি টাকার এই মাইলফলক অর্জন করেছে। যার মধ্যে মোট ঋণ এবং মোট জমা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শাখা সংখ্যা এবং মোট ঋণের দিক থেকে SBI দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের নন্দনকাননে বঙ্গভূষণ পেলেন সোনার মেয়ে রিচা! CAB-র কাছ থেকে মিলল একগুচ্ছ উপহার
গত বৃহস্পতিবার এই ব্যাঙ্কের বাজার মূলধন ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এর ফলে HDFC ব্যাংক, টিসিএস, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ভারতী এয়ারটেল এবং ICICI ব্যাঙ্কের মতো বড় নামগুলির সঙ্গেও SBI (State Bank of India) যুক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার SBI সেপ্টেম্বর ২০২৫ ত্রৈমাসিকে নিট মুনাফা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০,১৬০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে বলে জানায়। মূলত, রিটেল থেকে শুরু করে কৃষি এবং MSME ঋণ বৃদ্ধি ও ইয়েস ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বিক্রি থেকে লাভের কারণে এটি হয়েছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, এই ব্যাঙ্কের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৪.২০ লক্ষ কোটি টাকা এবং মোট জমার পরিমাণ ছিল ৫৫.৯২ লক্ষ কোটি টাকা।












